যতই ডিজাইনার পোশাক হোক বা সাজে থাকুক ট্রেন্ডের ছোঁয়া, ব্যাগের সঠিক বাছাই আলাদা মাধুর্য যোগ করে তাতে। পুজোর আগে জামাকাপড়, রূপসজ্জার সামগ্রী কেনার হিড়িক তো পড়েছেই। তা বলে ব্যাগের কথাটা ‘ব্যাগে’ ঢুকিয়ে রাখেননি তো আবার!
ইক্কত: সাবেক পোশাক হোক বা পাশ্চাত্য ঘরানার, দুই ক্ষেত্রেই ইক্কত ব্যাগের জুড়ি মেলা ভার। এটির কাপড় এবং কারুকার্য বরাবরই নজরকাড়া। ষষ্ঠীর পশ্চিমি সাজ হোক বা অষ্টমীর খাঁটি বাঙালিয়ানা, ইক্কত হতেই পারে শো স্টপার!
ক্লাচ: ক্লাচ শুনে মুখ বেঁকাতেই পারেন শহুরে কন্যেরা। কিন্তু সান্ধ্য পার্টি বা এমন যে কোনও অনুষ্ঠানের জন্য একটি ক্লাচ-ই কিন্তু যথেষ্ট। পরিমিত রূপটান এবং বাহুল্যহীন পোশাকের সঙ্গী হতেই পারে এটি। বিশেষ করে ক্লাচে হলুদ, কালো এবং সাদার ছোঁয়া থাকলে, তা যে কোনও সাজের সঙ্গেই মানিয়ে যাবে।
সিন্থেটিক লেদার: সাধ থাকলেও লেদারের ব্যাগ কেনার কথা ভাবলে অনেকেরই পকেটে টান পড়ে! আসল চামড়ার ব্যাগের জায়গায় আপানার সঙ্গী হতে পারে এই সিন্থেটিক লেদারের ব্যাগ। দামেও যেমন কম, তেমন খুব বেশি যত্নেরও প্রয়োজন পড়ে না।
বিডস: বিডস দিয়ে তৈরি এই ব্যাগ ফ্যাশনের তালিকায় প্রথম থেকেই সামিল। খুব বেশি ভারী জিনিস বহন করতে না পারলেও সৌন্দর্যের নিরিখে পিছিয়ে নেই এই ব্যাগগুলি।
বটুয়া: ‘বিডস’ ব্যাগের প্রসঙ্গ যখন উঠলই, এদের নিয়েও কথা হোক। বাঙালি বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠানে সকলের দিকে একটু চোখ বোলালেই দেখতে পেয়ে যাবেন এই ব্যাগের রমরমা রাজপাট। জমকালো শাড়ি এবং ভারী সাজের সঙ্গে বটুয়া খুবই মানানসই। বিভিন্ন আকারের পুঁতি, কাচ বসানো এই পোটলি ব্যাগগুলি দেখতেও বেশ নজরকাড়া।
টোট ব্যাগ: সুতির কাপড়ের উপরে নানান নকশার টোট ব্যাগের গুরুত্ব বুঝি একটু পরেই বুঝেছে কমবয়সিরা। সৌন্দর্য তো আছেই, পাশাপাশি নিত্যদিনের প্রয়োজনীয় জিনিস রাখার জন্য এই ব্যাগের তুলনা হয় না।
সিক্যুইনস ব্যাগ: যে কোনও পার্টি-সাজের সঙ্গে এই ধরনের ব্যাগ বেশ মানানসই। তবে দেখতে কিন্তু বেশ ঝকমকে। পুজোর ভিড়ে জমাটি সাজের সঙ্গে হাতে একটা জমকালো ব্যাগ হলে ক্ষতিই বা কী!
স্যাচেল ব্যাগ: একটু কম দামের মধ্যে স্যাচেল ব্যাগও রাখুন আপনার সংগ্রহে। জিনিসপত্র বেশি ধরে।
তা হলে আর কী, এ বার পছন্দের পোশাকের সঙ্গে মানানসই ব্যাগ কিনে ফেলুন। (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।)