দেবীপক্ষের শুভ সূচনা ঘটে গিয়েছে। রাস্তাঘাটে ব্যস্ততা, মণ্ডপে মণ্ডপে প্রতিমা চলে আসা, শেষ মুহূর্তের কাজের প্রস্তুতি, বাজারে বাজারে ভিড় বলে দিচ্ছি তিনি এসেই গিয়েছেন প্রায়। কেবল সময়ের অপেক্ষা।
কিন্তু কেনাকাটা হয়ে গেলেও এ বার পুজোয় কোন দিন কেমন সাজবেন বুঝে উঠছেন না? তা হলে টিপ্স নিতে পারেন ‘রঘু ডাকাত’-এর সৌদামিনীর থেকে।
‘রঘু ডাকাত’-এর প্রচারে কখনও শাড়ি, কখনও টিশার্ট-ডেনিম লুকে নজর কাড়ছেন তিনি। এমনকী, এই ছবির গানেও তাঁর অন্য রকম লুক, বিশেষ করে তাঁর চুল বাঁধার ধরন বেশ চর্চায় রয়েছে।
সপ্তমীর দিন বন্ধুদের সঙ্গে ঠাকুর দেখার পরিকল্পনা? তা হলে এমন একটা কো-অর্ড সেট বেছে নিতেই পারেন।
সঙ্গে হালকা মেকআপ, হাতে ঘড়ি আর কানে ছোট্ট দুল পরলেই সাজ কমপ্লিট! চুল পনিটেল করতে পারেন আবার খোলাও রাখতে পারেন নায়িকার মতো। সকালে বেরোলে কিন্তু রোদ চশমা চাই-ই চাই!
অষ্টমীর দিন রাতে এমন একটি গোলাপি বা রানি রঙের শিমারি শাড়ি পরতে পারেন। আঁচলটা সরু করে নায়িকার মতো নিতেও পারেন, কিংবা আঁচল ছাড়া দিয়েও স্টাইল করতে পারেন।
এই শাড়ির সঙ্গে মাঝখানে সিঁথি করে চুল খোলা রাখতে পারেন। বা অল্প চুল নিয়ে ক্লিপ দিয়ে আটকে, বাকি চুল খোলা রেখেও স্টাইল করতে পারেন ইধিকার মতো। সঙ্গে কানে পরুন ঝুমকো। গলা খালি রাখতে পারেন বা সরু কোনও হার পরতে পারেন, হাতে সরু চুড়ি পরলেই সাজ সম্পন্ন হবে। মানানসই মেকআপ করে নিন এই পোশাকের সঙ্গে।
নবমীর আড্ডা বলুন বা ঠাকুর দেখা, ছক ভেঙে একটু অন্যরকম সাজতেই পারেন। গ্রাফিক্স ডিজাইন করা বা কবিতার লাইন লেখা কোনও টিশার্টের সঙ্গে জিন্স পরতে পারেন এদিন।
এই সাজের সঙ্গে পনিটেল করতে পারেন বা খোলা চুল রাখতে পারেন। হাতে পরুন ঘড়ি। কানে রিং বা ছোট কোনও দুল পরতে পারেন।
কেবল পোশাক নয়, এ বার চর্চায় রয়েছে ‘ঝিলমিল লাগে রে’ গানটি থেকে ইধিকার চুল বাঁধার স্টাইল এবং টিপের ধরন। দশমী বা অষ্টমীর দিন, বা পুজোর অন্য কোনও দিন সাবেকি পোশাক পরলে মাঝখানে সিঁথি করে, দুই পাশে বিনুনি করে সেটা মাথার পিছন দিকে ক্লিপ দিয়ে আটকে দিন। তাতে গুঁজে দিন ছোট ছোট ফুল। লাগাতে পারেন বিডসও।
কেবল মেকআপ, কাজল নয়। পুজোয় নজর কাড়ুক আপনার টিপও। আইলাইনার দিয়ে পছন্দের ডিজাইন করে টিপ পরতে পারেন। (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ)।