দুর্গাপুজো মানেই নতুন সাজ, নতুন আনন্দ। শুধু বড়রাই বা কেন, বাড়ির ছোট্ট সদস্যটিও যে ঘরের লক্ষ্মী! তাই এই পুজোয় সেই কুট্টি লক্ষ্মীটিকেই সাজিয়ে তোলা যায় দেবীর আদলে।
বাতাসে শিউলি ফুলের গন্ধ, নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেলা আর মাঠে মাঠে কাশের বন। লাল-সাদা শাড়িতে একরত্তি মেয়ে, হাতে কাশের গুচ্ছ। এমন দৃশ্য চোখে পড়লেই মনটা বেশ ফুরফুরে হয়ে ওঠে সবারই।
লাল-সাদা শাড়িতে খুদে কন্যা। মানানসই ব্লাউজ, হাতে চুড়ি, কানে দুল। এই দুই রঙের মিশেল যেন পুজোয় বাঙালির চিরন্তনী সাজ।
তার ব্লাউজের পিছনে আঁকা দেবীর মুখ– হলুদ রঙের মুখশ্রী, বড় বড় চোখ, লাল টিপ। যেন শরতের মাঠে কাশের বনের ফাঁকেই উঁকি মারছে দেবীর প্রতিচ্ছবি।
লাল-সাদা পোশাকের সঙ্গে চুলে জড়ানো জুঁইফুলের মালা, কপালে টিকলি, গলায় ভারী হার। কোমরে কোমরবন্ধ। হাতে ধরা পদ্মফুল। একেবারে সাক্ষাৎ খুদে লক্ষ্মী যেন!
কুট্টি কন্যের গলার হার, হাতের চুড়ি– সব কিছুই উৎসবের মেজাজকে আরও বাড়িয়ে তুলছে।
এমন সাজ শুধু ছবির জন্য নয়, বরং উৎসবের আবহকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলে।
আপনিও আপনার পরিবারের একরত্তি সদস্যের জন্য বেছে নিতে পারেন লাল-সাদা ধুতি, জামদানি শাড়ি, ছোট্ট কুর্তা বা স্কার্ট-ব্লাউজ।
সঙ্গে যোগ করতে পারেন কপালে সিঁদুর টিপ, মাথায় ফুলের মালা, কোমরে ছোট্ট ঘন্টা দোলানো কোমরবন্ধনী।
পুজো মানেই আনন্দ, তার সাজ মানেই আবেগ। এই দুর্গাপুজোতে ঘরের ছোট্ট ‘লক্ষ্মী’-কেও সাজিয়ে তুলতে পারেন এমন চিরন্তনী শারদ সাজে। (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ)।