Durga Puja 2019

মুখের গড়ন অনুযায়ী কী গয়না পরবেন? জানালেন বরুণা ডি জানি

পুজোর জন্য ‘ভাও’ বা ‘ব্রাইডাল’ কালেকশনের দরজা খুলে দিলেন এই জুয়েলারি ডিজাইনার।

Advertisement

স্রবন্তী বন্দ্যোপাধ্যায়

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৮:১৩
Share:

ডিজাইনার বরুণা ডি জানির ‘ব্রাইডাল’ কালেকশন

গয়নার মধ্যে স্বপ্ন বোনা আছে। সেই স্বপ্নের মায়া ধরে শুধুমাত্র একটা গয়নার চমকেই চারাচরে আলোড়ন তুলতে পারেন আপনি। স্বপ্ন যখন গয়না মোড়া— সেখানে সোনা, রুপো আর হিরের দ্যুতি তো থাকবেই। আপনি যেমন মানুষ, আপনার গয়নাও হওয়া উচিত সেই রকম। এখন সিঙ্গল পিস স্টেটমেন্ট জুয়েলারির চলও রয়েছে।

Advertisement

কোনও নারী এক্কেবারে ঘরোয়া৷ কোনও নারী ব্যস্ত কেতাদুরস্ত কর্পোরেট ওয়ার্ল্ডে৷ কখনও কখনও দেখা যায় এক জনের পছন্দ একটু ভারিক্কি গয়না৷ আবার অন্য জনের প্রাচ্য-পাশ্চাত্যে মেলানো মডার্ন, সফিস্টিকেট, কনটেম্পোরারি জুয়েলারি৷ নিজের ব্যাক্তিত্ব অনুযায়ী গয়না বাছুন সব সময়।

বরুণার মতে, ধরা যাক কিরণ খের বা মাধুরী দিক্ষিতের মুখের আদল। মানে প্রতিমা প্রতিমা সাবেকী মুখের অবয়ব। এ ক্ষেত্রে তাঁদের ভারী এথনিক গয়না বেশি মানানসই হবে। গোল বা সামান্য লম্বাটে মুখ বলে তাঁরা কানবালা বা ঝুমকো পরলে মুখের অবয়বটা বেরিয়ে আসবে। এই ক্ষেত্রে বিশাল কাঁধ অবধি ঝোলা দুল পরলে মুখের সৌন্দর্য হারিয়ে গিয়ে দুলটাই চোখে পড়বে।

Advertisement

ধরুন ছোট মুখ। টানা টানা চোখ। লম্বাটে চেহারা। তাঁকে ট্র্যাডিশনাল বা ভারী টেম্পল জুয়েলারি দেওয়া যাবে না। একেবারে রুবি বা হীরের কোনও আধুনিক মোটিভে ওঁকে সাজিয়ে তুলতে হবে।

আরও পড়ুন: সুতির নকশা ও সুতির কাপড়েই বাজিমাত!

তবে পুজো আসছে। সব টাকা তো আর গয়নার জন্য খরচ করা যাবে না। তবে হ্যান্ড ক্রাফ্টেড অরিজিনাল স্টোন বা হীরের গয়না এমন কিনুন, যাতে একটা গয়নাকে অনেক ভাবে শরীরের বিভিন্ন অংশে জড়িয়ে নিতে পারেন।

বরুণার সাফ কথা, বিশ্বায়নের নারী গয়নাবিলাসী৷ গয়না দিয়ে সে নিজের অভিমত ব্যক্ত করতে ভালবাসে। তার কাছে গয়না মানেই লকারের এক কোণে পড়ে থাকা দিদিমা-ঠাকুমার গয়না নয়। চাকুরিরতা মহিলারা স্লিক, ট্রেন্ডি জুয়েলারিতে মজেছেন। সেই কথা মাথায় রেখেই সম্প্রতি আমার নয়া সংযোজন ‘ভাও’।

হৃদয় তোমার আপন হাতে দোলে...

বরুণার কাছে ‘ভাও’ শব্দের বিশ্লেষণ ‘ভেরি ওন উইশ’৷ এই কালেকশনের বিশেষত্ব, একটা গয়নাকেই পাঁচ রকম ভাবে পরা৷ ক্যাটাগরিতে রয়েছে- ‘এসেনশিয়াল’ ক্যাজুয়াল ওয়্যারের জন্য৷ ‘এলিগ্যাঞ্জা’ ফর্মাল লুকের জন্য৷ ‘পোটেনজা’ স্টাইলিশ ওয়্যার হিসেবে৷ আর ‘সেনসাজিওন’ কনের জন্য৷ অনেক খরচের দরকার নেই। একটা সিম্পল শাড়ির সঙ্গে বাহারি ব্রোচ। ১৮ ক্যারেট সোনা দিয়ে বাঁধানো এই ব্রোচের মাঝখানে জ্বলছে আপনার হৃদয়। রক্ত লাল প্রেসাস স্টোন৷ তাকে ঘিরে রঙিন আর সাদা হিরে সাজানো৷ এই ব্রোচই পেনডেন্ট হতে পারে চেন দিয়ে গলায় পরলে৷

দোলে দোদুল দোলে...

হোয়াইট গোল্ডের উপর ডায়মন্ড আর নীলকান্ত মণির সমারোহে ড্যাংলিংটিও দুরন্ত৷ তলায় আবার ছোট্ট ঝুমকো৷ বিয়ের আমন্ত্রণে সাড়া দিতে এ রকম একজোড়া দুলই তো চাইছিলেন! এই দুলটাই পার্টিতে পরুন ওয়েস্টার্ন ড্রেসের সঙ্গে৷ তখন না হয় ঝুমকো দুটো সরিয়ে নিলেন৷

রুপো-হিরের সহবাস...

ভাও কালেকশনের আরও একটি দুর্দান্ত উপহার রুপো আর হিরের সহবাসে তৈরি চওড়া ব্যাঙ্গল৷ আমরা সাদা বাংলায় যাকে বলি চূড়। বেশ চওড়া হওয়ায় একটাতেই হাত ভরে থাকবে৷ যাঁরা হালকা বালা পরতে ভালোবাসেন, ক্লাচ দিয়ে আটকানো চূড় খুললেই দু’টি বালা পেয়ে যাবেন৷

সোনার থালায় সুখের অলংকার...

অষ্টমীর রাত। রাতের রঙে মুক্তোসুখ। আপনার শরীরে সে দিন বসান সাইড ওয়েস ক্রস নেকলেসকে। এক দিকে অজস্র হিরের কুচি, মাঝখানে আর নীচে পায়রার ডিমের মতো মুক্তো৷ পুরোটা সোনায় গাঁথা৷ গলা ভরাতে যথেষ্ট৷ অন্য সময় নীচে ঝোলা মুক্তোর লকেট খুলে নিয়ে নেকপিস হিসেবেও পরা যাবে৷

আছে আরও এক হিরে-মানিক জ্বলা নেকলেস। নেকলেসের মাঝখানে বড়, গোলাকার চুনি৷ উপরে হিরের কুচি আর আয়তাকার পান্না৷ পর পর তিন লহরী হিরের থাক৷ নীচে চুনি বসানো হিরের ফুল৷ তারও নীচে চোখের জলের মতো টলটলে মুক্তোর ঔদ্ধত্য৷ পরে নীচের চুনি, মুক্তোর ঝালর খুললে হয়ে যাবে স্লিক, চোখ ধাঁধান নেকপিস৷ চিক স্টাইলের নেকলেসটিও কমতি নয়৷ হিরে, সোনার জালি কাজ৷ সঙ্গে নিটোল পান্না৷ এটারও ক্লাচ দিয়ে আটকানো৷ নীচের অংশ খুলে নেকপিস বানানো যেতে পারে৷ দুলের ক্ষেত্রেও উপরের অংশ আর ঝুমকো আলাদা করা। ইচ্ছে মতো পরে ফেলুন।

আরও পড়ুন: পুজোর ভিড়ে গরমে মেক আপ ঘাঁটার ভয়? এই জাদুতেই ধরে রাখুন সাজগোজ!​

গয়নায় অ্যানিমাল মোটিভ...

এ ছাড়াও রয়েছে বড়ো আকারের আনকাট এমারেল্ডের আংটি, রুবি, মুক্তো, হিরের ছটায় চোখ ধাঁধাঁনো ব্রেসলেট, রুপোর উপরে হিরে বসানো অ্যানিমেল মোটিফের কাফলিঙ্ক।

নিজেকে ভাঙুন

ওয়েস্টার্ন শর্ট ড্রেসের সঙ্গে সোনার চোকার পরতে পারেন। আবার শাড়ির সঙ্গে স্টোন স্টাডেড স্টেটমেন্ট রিং। ফর্মাল ওয়্যারের সঙ্গে ব্রেসলেট চলতে পারে। শুধু মনে রাখবেন, গয়না আপনার শরীরের কার্ভ থেকে ঔজ্জ্বল্যকে যেন বার করে আনতে পারে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন