পুজোর সময় প্রতি দিনই নতুন হেয়ার স্টাইল করতে গিয়ে নানা ধরনের হিট স্টাইলিং টুলস (যেমন - স্ট্রেটনার, কার্লার) এবং হেয়ার স্প্রে ব্যবহার করা হয়। এতে চুলের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। কিন্তু, উৎসবের মরশুমে কিছু সহজ টিপ্স মেনে চললে চুল থাকবে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল।
পুজোর আগেই চুলের যত্ন: উৎসবের ঠিক আগেই চুলের যত্ন নেওয়া শুরু করুন। পুজোর কয়েক দিন আগে থেকেই চুলে রাসায়নিকযুক্ত জিনিস ব্যবহার কমিয়ে দিন। একটি ভাল হেয়ার স্পা অথবা ডিপ কন্ডিশনিং ট্রিটমেন্ট করিয়ে নিন। এতে চুলের রুক্ষতা কিছুটা কমবে এবং চুল নরম থাকবে।
শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার নির্বাচন: পুজোর সময় যেহেতু রোজ চুল ধোওয়া হয়, তাই একটি হালকা এবং সালফেটমুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। শ্যাম্পু করার পর অবশ্যই একটি ভাল মানের কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। এটি চুলের ময়েশ্চার ধরে রাখতে সাহায্য করে এবং চুলের জট কমায়।
হিট প্রোটেক্ট্যান্ট স্প্রে ব্যবহার: হেয়ার স্ট্রেটনার বা কার্লার ব্যবহার করার আগে অবশ্যই ভাল মানের হিট প্রোটেক্ট্যান্ট স্প্রে ব্যবহার করুন। এটি চুলের উপর একটি সুরক্ষামূলক স্তর তৈরি করে। যা সরাসরি হিট থেকে চুলকে রক্ষা করে এবং চুলের ক্ষতি কমায়।
চুলের গোড়ায় প্রসাধনী ব্যবহার এড়িয়ে চলুন: হেয়ার স্প্রে বা হেয়ার জেল ব্যবহারের সময় খেয়াল রাখুন, যেন তা সরাসরি চুলের গোড়ায় না লাগে। এই ধরনের রাসায়নিক চুলের গোড়ার ক্ষতি করতে পারে এবং চুলের বৃদ্ধি ব্যাহত করতে পারে। এটি শুধু চুলের উপরের অংশে ব্যবহার করুন, যাতে স্টাইল দীর্ঘক্ষণ থাকে।
হেয়ার মাস্কের ব্যবহার: পুজোর সময় প্রতি দিন চুলে স্টাইল করা হলে চুলের আর্দ্রতা কমে যায়। তাই রোজ রাতে ঘুমানোর আগে একটি ময়েশ্চারাইজ়িং হেয়ার মাস্ক লাগান। এটি চুলের রুক্ষতা দূর করে এবং পুষ্টি জোগায়। নারকেল তেল, মধু ও দইয়ের মিশ্রণে তৈরি ঘরোয়া হেয়ার মাস্কও ব্যবহার করতে পারেন।
টাইট হেয়ারস্টাইল এড়িয়ে চলুন: খুব টাইট করে চুল বাঁধা, যেমন টাইট ব্রেড বা খোঁপা এড়িয়ে চলুন। এতে চুলের গোড়ায় টান পড়ে এবং চুল ছিঁড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বরং হালকা হেয়ারস্টাইল বেছে নিন। যা আপনার চুলের জন্য আরামদায়ক হবে।
সিল্কের বা সাটিনের বালিশের ঢাকা ব্যবহার: যদি আপনার সুযোগ থাকে, তাহলে নরম সুতির বালিশের কভারের বদলে সিল্ক বা সাটিনের বালিশের কভার ব্যবহার করুন। এতে ঘুমানোর সময় চুলে ঘষা কম লাগে এবং চুল রুক্ষ হয় না।
সঠিক চিরুনি ব্যবহার: চুল আঁচড়ানোর জন্য একটি ভাল মানের মোটা দাঁতের চিরুনি ব্যবহার করুন। শ্যাম্পু করার পর চুল ভিজে অবস্থায় আঁচড়ানো থেকে বিরত থাকুন। এতে চুলের গোড়া দুর্বল হয়ে পড়ে। চুল শুকিয়ে এলে সাবধানে জট ছাড়ান।
প্রচুর জল পান এবং পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ: বাইরের যত্ন যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনই চুলের স্বাস্থ্যের জন্য ভিতরের যত্নও অপরিহার্য। প্রতি দিন প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন এবং পুষ্টিকর খাবার খান। ভিটামিন, প্রোটিন এবং মিনারেল সমৃদ্ধ খাবার চুলের গোড়া মজবুত করে এবং চুলকে ভিতর থেকে সুস্থ রাখে। (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ)।