সাজগোজ এখন আর নারীর একচেটিয়া নয়। পোশাক থেকে শুরু করে রূপসজ্জা কেমন হবে, তা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষায় পুরুষও কিন্তু পিছিয়ে নেই মোটেই। বিশেষত সিনেমার দৌলতে পর্দার নায়কদের ‘রাফ অ্যান্ড টাফ’ লুকে বেশ বুঁদ হয়েছে যুবপ্রজন্ম।
বলিউড চিনিয়েছে ‘কবীর সিংহ’ বা ‘অ্যানিম্যাল’-এর রণবিজয় সিংহকে। ‘কুলি’ ছবির রজনীকান্তও কিন্তু কম যান না। পুজো তো প্রায় এসেই গেল! সঠিক ‘অ্যাকসেসরিজ’ বাছাই করে নিতে পারলে তাঁদের মতো আপনিও হয়ে উঠবেন মধ্যমণি।
আগে পুরুষের সাজ বলতে ছিল গলায় সোনার চেন, হাতে আংটি কিংবা খুব বেশি হলে পাঞ্জাবিতে সোনার বোতাম। যুগ বদলেছে। মাথার চুলের ছাঁট থেকে শুরু করে পায়ের নখ, সব বিষয় নিয়েই এখন বেশ সচেতন আজকের পুরুষ।
কাঁধ পর্যন্ত চুল থাকলে বেঁধে নিতে পারেন একটি পনিটেল। একটু সাহসী লুক চান? তা হলে সঙ্গে কানে থাক দুল বা বিডসের বডি জুয়েলারি। এখন তো থুতনি অথবা ভ্রু-তে পিয়ার্সিংও ট্রেন্ডিং।
ক্লিন শেভ পছন্দ নাকি গালভর্তি দাড়ি? লুক যেমনই হোক না কেন, থাকুন আত্মবিশ্বাসে ভরপুর। পুজোয় ভিড়েও নজর থাকবে আপনার উপরেই। গলায় একটা পাতলা চেন ঝুলিয়ে নিতে ভুলবেন না যেন।
চিরাচিরত পোশাকের ক্ষেত্রেও যাঁরা একটু বদল আনতে চাইছেন, তাঁরা স্কার্ফের কথা ভেবে দেখতে পারেন। প্রিন্টেড বা সলিড রঙের স্কার্ফ কোনটা মানাবে বেশি, তা আপনার পোশাক পরার রুচি ও ব্যক্তিত্বের উপরেই নির্ভর করবে।
রুপোর রিস্টব্যান্ড ছাড়া সলমন খানকে দেখেছেন কখনও? মন্দ লাগে তাঁকে? প্ল্যাটিনাম বা হিরের রিস্টলেটও কিন্তু রাখতে পারেন সাজের তালিকায়।
স্বল্প খরচে বেছে নিতে পারেন চামড়া বা কাঠের রিস্টলেট। এর সঙ্গে নন-মেটালিক কিছু আংটি সাজে যোগ করবে অন্য মাত্রা। আর হ্যাঁ, অ্যানালগ ঘড়িও একাই একশো!
শুধু গয়না নয়, জুতোর ক্ষেত্রে সচেতন হতে ভুলবেন না কিন্তু।
পছন্দসই পোশাক, ঘড়ি পরলেন হয়তো। স্টাইলিশ জুতো ছাড়া কিন্তু ছেলেদের সাজ একেবারে অসম্পূর্ণ।
ক্লাসিক ব্ল্যাক বা নেভি ব্লু রঙের স্নিকার্স বেশ মানাবে সাজের সঙ্গে। এ ছাড়াও বোট শু-র এখন খুব চল।
ক্যাজুয়াল সাজের সঙ্গে ‘অক্সফোর্ড শু’ বা ‘সেলর শু’ পরতে পারেন। বিভিন্ন অনলাইন শপিং অ্যাপে সহজেই পেয়ে যাবেন সে সব। লেদারের জুতো কিনুন, ফ্যাশনের সঙ্গে সঙ্গে আরামও পাবেন।
বড় ব্যাগে রাখতে পারেন স্লিং ব্যাগ অথবা মেসেঞ্জার ব্যাগ। (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।)