দুর্গাপুজো মানেই সকাল থেকে রাত অবধি ঠাকুর দেখা, আড্ডা, খাওয়া-দাওয়া আর অন্তহীন ছবি তোলা। সাজগোজও তাই থেমে থাকার জিনিস নয়। কিন্তু সারা দিন টইটই করে বেড়ালে ঘাম, ধুলো আর ভিড়ের চাপে মেকআপ গলতে সময় নেয় না বিশেষ। তার উপরে বৃষ্টি হলে তো কথাই নেই। তাই পুজোর ব্যাগে থাক কয়েকটা জরুরি জিনিস। তাতেই সামলে দেওয়া যায় রূপটানের বেহাল দশা।
সকালে ঠাকুর দেখতে বেরোনোর আগে অনেকেই ভারী মেকআপ করেন, কিন্তু দিনে গরমে তা গলে যায়। তাই প্রথমে মুখ ভাল করে পরিষ্কার করে ম্যাট প্রাইমার ব্যবহার করতে পারেন। এতে ফাউন্ডেশন দীর্ঘস্থায়ী হবে।
এর উপরে ম্যাট ফাউন্ডেশন লাগাতে পারেন, যা সহজে মুখ থেকে উঠে যাবে না।
সারাদিন ঘোরার পরে মেকআপ যদি কিছুটা উঠেও যায়, সমস্যা নেই। ব্যাগে একটা কমপ্যাক্ট পাউডার রেখে দিলেই হবে। এটা ছোট টি-পার্টির জন্যও কাজে আসে। হালকা করে পাউডার লাগিয়ে নিলেই মুখ তরতাজা দেখাবে। যাদের ত্বক শুষ্ক, তাঁরা ক্রিম ব্লাশ ব্যবহার করতে পারেন।
পুজো মানেই তো বন্ধুদের সঙ্গে রাত জেগে আড্ডা। এই সময়ে উজ্জ্বল থাকার জন্য ব্যাগে থাক একটা হাইলাইটার।
না ঘুমিয়ে চোখের নীচে ডার্ক সার্কল? তা লুকোনোর জন্য যে কনসিলার ব্যবহার করেন, সেটা অবশ্যই থাক ব্যাগে। ভারী মেকআপ যাঁদের পছন্দ নয়, তাঁরা শুধু কাজল আর হালকা লিপস্টিক ব্যবহার করলেও ভাল লাগবে।
আইলাইনার বা কাজল চোখের জেল্লা বাড়ায়। ঘুরতে ঘুরতে হঠাৎ কারও বাড়ি যাওয়া কিংবা ঠাকুর দেখার মাঝেই ফটো সেশন শুরু হলে, সামান্য টাচ-আপেই উজ্জ্বল দেখাবে।
তার জন্য সঙ্গে অবশ্যই থাকা চাই ওয়েট টিস্যু বা ফেস ওয়াইপস— ঘাম মুছতেও কাজে লাগবে, মেকআপ ঠিকঠাক করতেও। চটজলদি সাজ ঠিক করে নিতে ম্যাট লিপস্টিক, আইলাইনার, মাসকারা এবং একটা ছোট্ট স্পঞ্জ ব্যাগে রাখা উচিত। যদি সম্ভব হয়, সঙ্গে একটা মেকআপ সেটিং স্প্রে-ও নিতে পারেন।
যে কোনও লিপস্টিক ব্যবহার করার আগে লিপবাম লাগিয়ে নিলে ঠোঁট নরম থাকবে। সেটা যেন ব্যাগে থাকে। এ ছাড়া, লিপস্টিক কেনার সময়ে ম্যাট শেড বেছে নেওয়া যেতে পারে, কারণ এটি অনেকক্ষণ থাকে।
পুজোর দিনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বাইরে থাকতে হয়। তাই ছোট্ট একটা ট্র্যাভেল সাইজ পারফিউম, বডি স্প্রে বা বডি মিস্ট রাখা ভাল। ভিড়ের মাঝে সেই সুগন্ধ বাড়তি আত্মবিশ্বাস দেবে।
আর ব্যাগে যদি একটু জায়গা বাঁচে, তবে হ্যান্ড স্যানিটাইজার আর চুল বাঁধার ক্লাচার/রাবার ব্যান্ড রাখতেই হবে।
এই সব টিপস মাথায় রাখলে যখন তখনই দিয়ে নেওয়া যাবে রূপটান। এবং সেজেগুজে পুজোর দিন, চিন্তাহীন। (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ)।