‘শ্যামসুন্দর কো জুয়েলার্স’-এর শোরুম
ধনতেরাসের প্রসঙ্গ উঠলেই সোনার গয়না কেনার উৎসাহ অনেকগুণ বৃদ্ধি পায়। এই দিন দেবী ধনলক্ষ্মীর পুজো হয় এবং কথায় আছে ধনতেরাসের দিন সোনা কিনলে দেবী ধনলক্ষ্মী খুশি হন। মনে করা হয়, তিনি তুষ্ট হলে পরিবারে সুখ-শান্তি-সমৃদ্ধি আসে।
তবে সোনা শুধু যে সাজার ও সাজানোর জন্য কেনা হয় তা নয়। ভবিষ্যৎ সঞ্চয়ের জন্যও সোনার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। ‘শ্যামসুন্দর কো জুয়েলার্স’-এর কর্ণধার রূপক সাহা বলেন, “যারা সঞ্চয়ের মার্কেটে কাজ করেন তাদের ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা বলেন প্রত্যেকের পোর্টফোলিয়োতে যেন ২০% সোনা থাকে। সোনার ইতিহাস দেখলে গত ১০০ বছরে প্রত্যেক বছর ২১% করে সোনার মূল্যে বৃদ্ধি হয়েছে। কিন্তু গত বছরের তুলনায় এবছর তা বেড়ে ৫০% হয়েছে। গত ধনতেরাসে ২২ ক্যারেট সোনার প্রতি গ্রাম ৭৫০০ টাকার কাছাকাছি ছিল, এবার সেটা বেড়ে ১১,৫০০ টাকার কাছাকাছি হয়ে গেছে। তাই সবার মনেই এই প্রশ্ন থাকে এই বর্ধিত দামে সোনা কেনা যাবে কিনা!”
তিনি আরও জানান, “সোনা কোনওদিনই সস্তা ছিল না। যখন সোনার দাম ৫০,০০০ টাকা হয়েছিল, তখন আমরা সবাই বলেছিলাম আর সোনা কেনা যাবে না। কিন্তু আমরা সবাই সোনা কিনেছি। এটাই বেড়ে যখন ৭০,০০০ টাকা হয়েছে, তখনও লোকে সোনা কিনেছে। আজকের দিনে সোনা ১,২০,০০০ টাকার কাছাকাছি। কেউ যদি সোনা না কিনে থাকেন তাদের জন্য সোনা কেনার সেরা দিন এই ধনতেরাস। সেরা অর্থনীতি বিশেষজ্ঞ কাওয়াসাকি বলেছেন আগামী ১০ বছরে সোনার দাম হবে প্রতি ১০ গ্রামে ৪,৫০,০০০ টাকা।”
এই তথ্য কতটা সত্যি হবে তা তো ভবিতষ্যতেই জানা যাবে, কিন্তু সোনার দাম যে বাড়ছে সেই বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।
সোনা যেমন একটি পবিত্র ধাতু, যা ধনলক্ষ্মীকে খুশি করার জন্য কেনা যায় আবার এটি বিনিয়োগের জন্যও কেনা যায়। তাই যাঁরা এখনও দ্বিধায় আছেন সোনা কিনবেন কিনা, তাদের জন্য এটাই সেরা সময় সোনা কেনার। পুরুষরা অনেকেই ভাবতে পারেন তারা তো সোনা পড়বেন না তাহলে কেন কিনতে যাবেন, এখন পুরুষদের জন্যও গয়না পাওয়া যায় আর না হলে সোনার মুদ্রাতেও তারা বিনিয়োগ করতে পারেন।
রূপক সাহা জানান, “আধুনিক ট্রেন্ড অনুযায়ী সোনার গয়না কেনার পাশাপাশি হিরের গয়নাও এখন অনেকে সঞ্চয় করছেন। কারণ হিরের গয়না যেহেতু ১৮ ক্যারেট হয় এবং কখনও কখনও ১৪ ক্যারাটেও পাওয়া যায়, তাই তা এখন অনেক বেশি সাশ্রয়ী। গত দু’মাস আগে ভারত সরকার ৯ ক্যারেট গয়নাকেও মান্যতা দিয়েছে। তাই হিরের গয়না আগামী দিনে অনেকবেশি জনপ্রিয় হবে।”
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।