পুজো মানেই নতুন সাজ, নতুন আনন্দ। শহরের আনাচে-কানাচে এখন উৎসবের ঢেউ। এই সময়টায় চেনা মানুষদেরও চমকে দিতে চাই একটু অন্য রকম লুক।
এই শারদীয়ায় কিন্তু আপনার সাজের অনুপ্রেরণা হতেই পারেন দেব। অভিনেতা-প্রযোজককে ‘রঘু ডাকাত’-এর প্রচারে দেখা গিয়েছে নানা ধরনের লুকে। সেই সব লুক থেকে বেছে নিতে পারেন আপনার পছন্দের সাজ। এই সাজগুলোই মণ্ডপের ভিড়ে আপনাকে করে তুলবে মধ্যমণি।
পুজোর রাত মানেই জমকালো পোশাক। দেবের মতো স্টাইলিশ ও ঝলমলে কালো স্যুটের লুক হতে পারে নজরকাড়া। জ্যাকেটে বসানো রয়েছে হরেক রকম পাথর। এই ধরনের জাঁকজমকপূর্ণ পোশাক রাতের দিকে খুব ভাল লাগে।
যদি দিনের বেলায় একটু ক্যাজ়ুয়াল থাকতে চান, তা হলে বেছে নিতেই পারেন কালো-ধূসর রঙের সোয়েটার আর ডেনিম জিন্স। সঙ্গে কুল সানগ্লাস। দেবের মতোই দারুণ দেখাবে!
এই লুকটা দিনের বেলার ঘোরাঘুরির জন্য বেশ আরামদায়ক এবং স্টাইলিশ। নীল-সাদা স্ট্রাইপড টি-শার্ট আর নীল জিন্স। সপ্তমীর দুপুরে ঠাকুর দেখতে বেরোলে এই সাজ স্বাচ্ছন্দ্য এনে দেবে। বন্ধুদের সঙ্গে জমাটি আড্ডার জন্যও দারুণ।
এই সাজে আপনি সহজেই যে কোনও অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারেন। এমনকী, নাচতেও পারবেন। এই ধরনের পোশাক আপনাকে দেখতেও যেমন ফ্যাশনেবল লাগবে, সঙ্গে থাকবে ততটাই আরাম।
লাল রঙের ফুল-হাতা পোলো শার্ট আর হালকা রঙের জিন্স। এই উজ্জ্বল রঙের সাজ আপনাকে ভিড়ের মধ্যেও আলাদা করে তুলে ধরবে।
নবমীর সকালে ঠাকুর দেখতে যাওয়া বা বিকেলে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডার মৌতাত— সব কিছুর জন্যই দারুণ মানানসই এই সাজ।
পুজোর দিন বলে কথা! লাল পাঞ্জাবি ছাড়া কি চলে? দেবের এই লাল পাঞ্জাবি আর রুপোর লকেটের যুগলবন্দি ঐতিহ্য এবং আধুনিকতার এক দারুণ মেলবন্ধন।
কপালে একটি লাল তিলক আপনার সাজকে করে তুলবে আরও স্পেশাল। দশমীর সন্ধ্যায় এই সাজে যেন অন্য রকম এক অনুভূতি পাবেন।