ঠাকুর দেখতে দেখতে গড়িয়াহাট অঞ্চলে এসে পড়েছেন? একডালিয়া, সিংহী পার্কের পুজো দেখার পর কোথায় ভূরিভোজ সারবেন বুঝে উঠতে পারছেন না? চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক এই অঞ্চলের কিছু সেরা রেস্তোরাঁ এবং ক্যাফের হদিস।
গড়িয়াহাট মোড়ের কাছেই অবস্থিত ‘পদ্মাপাড়ের রান্নাঘর’। এটি আদতে একটি পাইস হোটেল, অথচ এসি রয়েছে। গরমের মধ্যে দুদণ্ড শান্তি যেমন মিলবে, তেমনই এই দোকানের সমস্ত রান্নার স্বাদ জিভে লেগে থাকার মতো। দুজনের ভূরিভোজের জন্য ১০০০ টাকা যথেষ্ট। বাঙালি সমস্ত পদ এখানে পাওয়া যায়।
গড়িয়াহাট মোড়ের কাছে আরও এক জনপ্রিয় রেস্তোরাঁ হল ‘বেদুইন’। এই দোকানে চাইনিজ থেকে মুঘলাই সব ধরনের খাবার পাবেন। এটিও বেশ পকেট ফ্রেন্ডলি।
সেরা স্বাদের বাঙালি খাবার খেতে চাইলে সিংহী পার্কের কাছেই রয়েছে ‘ভজহরি মান্না’। এই রেস্তোরাঁর সুখ্যাতি সকলেরই জানা।
ঠাকুর দেখার পর আড্ডার জন্য ছিমছাম সাজানো গোছানো ক্যাফের খোঁজ করে থাকলে চলে যেতে পারেন গড়িয়াহাট ব্রিজের পাশে অবস্থিত ‘পঞ্চমের আড্ডা’য়। মোটামুটি ৮০০ থেকে ১০০০ টাকার মধ্যে দুজনের জন্য ভরপেট খাবার পেয়ে যাবেন এখানে।
এটির ঠিক পাশেই রয়েছে ‘রোস্টারি কফি হাউজ’। আজকালকার ভাষায়, ‘এসথেটিক’ লুক আছে এমন কোনও ক্যাফেতে যেতে চাইলে এটা আপনার গন্তব্য হতেই পারে। যদিও পকেটে চাপ একটু বেশি পড়বে। তবে খাবারের স্বাদ? তা মুখে লেগে থাকার মতোই।
গড়িয়াহাটের কাছে অবস্থিত বাসন্তী দেবী কলেজের ঠিক বিপরীতে রয়েছে ‘ইন্ডথালিয়া’। এখানে পকেট ফ্রেন্ডলি দামে মুঘলাই থেকে কন্টিনেন্টাল, ইটালিয়ান সমস্ত ধরনের খাবারই পাবেন।
গড়িয়াহাট অঞ্চলে এসে সেরা চাইনিজ চোঁখে দেখতে চাইলে এটি আপনার গন্তব্য হবেই হবে। মাত্র ৬০০ টাকার মধ্যেই এখানে দুজনের খাবার পাবেন।
পুজোয় মনটা একটু কোরিয়ান খাবার চাইছে? তা হলে একডালিয়া এভারগ্রিন ক্লাবের কাছেই অবস্থিত এই ‘আজুম্মাস কিমবাপে’ যেতে পারেন। এখানেও ভীষণ সস্তায় পেটপুজো সেরে নিতে পারবেন ঠাকুর দেখার ফাঁকে।
ফাঁকায়, ভিড় এড়িয়ে ভূরিভোজ সারতে চাইলে চলে আসতে পারেন ‘সেরেনিটি ক্যাফে দি বিস্ট্রো’তে। যদিও এখানকার খাবার দাম একটু বেশি।
তা হলে আর কী! ঠাকুর দেখতে দেখতে গড়িয়াহাট অঞ্চলে এলে এগুলির একটি থেকে ভূরিভোজ সেরে নিতেই পারেন। এ ছাড়া একাধিক স্ট্রিট ফুড স্টল তো আছেই! (‘আনন্দ উৎসব ২০২৫’-এর সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছেন একাধিক সহযোগী। প্রেজ়েন্টিং পার্টনার ‘মারুতি সুজ়ুকি অ্যারেনা’। অন্যান্য সহযোগীরা হলেন ওয়েডিং পার্টনার ‘এবিপি ওয়ানস্টপ ওয়েডিং’, ফ্যাশন পার্টনার ‘কসমো বাজ়ার’, নলেজ পার্টনার ‘টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি’, ব্যাঙ্কিং পার্টনার ‘ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া’, কমফোর্ট পার্টনার ‘কার্লন’)। (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ)।