Durga Puja 2020

দেশীয় ফিউশনে ‘এডিবল আর্ট’, পছন্দের নিরামিষ খেতে আসতেই হবে ‘গ্রেস’-এ

কালো চালের পায়েস কিংবা খাটি ক্ষীর খেতে চাইলে আসতেই হবে ‘গ্রেস’-এ। 

Advertisement

রোশনি কুহু চক্রবর্তী

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০২০ ১৪:৪০
Share:

রন্ধন শিল্প। ঠাকুমা-দিদিমার হাতে মোচার ঘণ্ট নারকেল কোরা কিংবা কচু বাটায় মিশে যাওয়া সর্ষের মিশেলেই যেন প্রেম জড়িয়ে থাকে। পুজো প্যান্ডেলে আচমকা চোখে চোখ পড়ে যাওয়ার মতোই ভাল লাগা যেন। তবে খাঁটি নিরামিষ রান্না কিন্তু বেশ কঠিন। মায়ের হাতে লাউয়ের পায়েস কিংবা কুমড়োর বীজের বাটা অথবা চাপড় ঘণ্ট, এ সব পদ বিরিয়ানি কিংবা মাটন রেজালাকে গোল দিতে পারে নিঃসন্দেহে। কিন্তু রেস্তরাঁ গিয়ে নিরামিষ?

Advertisement

এটা ঠিক যে, মাছে-ভাতে বাঙালিদের মধ্যে কেউ কেউ দুর্গা পুজোর দিনে নিরামিষ খান, মুখ একটু ভার হয়। সেই লুচি তরকারি বা পনীর? বিশেষ করে ষষ্ঠী কিংবা অষ্টমীতে অনেকেই চান নিরামিষ খেতে। কেউ বা নানা কারণে রেড মিট বা ডিম ছেড়েছেন। নিরামিষ রান্নায় মজেছেন আজকাল। বিয়েবাড়িতে ভেজ কাউন্টারে যাঁরা খাবার খান, তাঁদের কথা ভুলে গেলে চলবে কেন? বাইপাসের ধারে ‘কলকাতা সেন্টার ফর ক্রিয়েটিভিটি’-র দ্বিতীয় তলেই ‘গ্রেস’ রেস্তরাঁ নিয়ে এসেছে এমনই সম্ভার। সম্পূর্ণ নিরামিষ খাবারের আয়োজন রয়েছে এই রেস্তরাঁয়। তবে পেঁয়াজ কিংবা রসুন কিন্তু বাদ পড়েনি এই রেস্তরাঁর রান্নায়। তাই এই নিরামিষকে আধুনিক ভারতীয় নিরামিষ বলে উল্লেখ করেন কর্তৃপক্ষ।

এই রেস্তরাঁর খাবার পরিবেশনের ধরনেও শিল্প ও সৃজনশীলতার ছাপ রয়েছে। খাবার পরিবেশনেও তাই অভিনবত্বের ছাপ। আধুনিক ভারতীয় ফিউশন খাবার এবং নিরামিষ খাবারের মাধ্যমেই ক্রেতাদের মন জয় করা উদ্দেশ্য তাঁদের।

Advertisement

আরও পড়ুন: তুলতুলে পাঁঠার মাংসে বাজিমাত, নেহারি খাস কী ভাবে বানায় ‘অওধ ১৫৯০’?

গ্রিন ল্যান্টার্নের স্বাদ মন ভোলাবেই আপনার।

আচ্ছা আম তেলের গন্ধের সঙ্গে গাজর এবং কমলালেবুর ফিউশন কেমন খেতে হতে পারে কিংবা সর্ষে, নারকেল, শসা দিয়ে লেটুসের ড্রেসিং কেমন খেতে লাগতে পারে? খাদ্যরসিকরা কিন্তু এ রকম পদ চেখে দেখতে চাইবেনই, এতে কোনও সন্দেহ নেই। কালো চালের পায়েস কিংবা খাটি ক্ষীর খেতে চাইলে আসতেই হবে ‘গ্রেস’-এ।

হুগলি চিজ স্যালাড চেখে বলুন তো কেমন লাগল।

‘এডিবল আর্ট’ বলে উল্লেখ করা হচ্ছে এই খাবারগুলিকে।নামী একজিকিউটিভ শেফরা রান্না করলেও এই রেস্তরাঁর বাজার কিন্তু স্থানীয়দের মাধ্যমেই হয়। সতেজ এবং সুস্বাদু খাবার দিয়ে ক্রেতাদের মন জয় করতে চান রেস্তরাঁ কর্তৃপক্ষ। আইপিএলউপলক্ষেও বেশ কিছু রঙিন পদ নিয়ে এসেছেন তাঁরা। যেমন পাম্পকিন বার্গার কিংবা মাশরুম মায়ো।কটেজ চিজ এবং পারমেসান চিজ মেশানো চিজ বলও রয়েছে কিন্তু এই রেস্তরাঁর সম্ভারে। সঙ্গে জল ঝরিয়ে রাখা টক দই ও বিশেষ এক ধরনের কারির মিশেল।এ ছাড়াও যাঁরা একটু বেশিই স্বাস্থ্য সচেতন, তাঁদের জন্য হেলদি বিট ড্রিঙ্ক কিংবা মোচা শেকও রয়েছে।সব্জ কাবাব,জেনোভেস পেস্তো অ্যান্ড আরবোরিও-র মতো ফিউশন কিংবা দেশীয় ঢঙে ধনিয়া রাইস, গ্রেভি পাও চেখে দেখতে চান, তারও ব্যবস্থা রয়েছে এই রেস্তরাঁয়।

আরও পড়ুন: কেকে’স ফিউশনের প্যান রোস্টেড চিকেন উইদ সতে ভেজিটেবল

শুধু রেস্তরাঁয় এসে খাওয়া নয়, ‘টেক অ্যাওয়ে’ বা বাড়িতে বসেই পছন্দের মেনু অর্ডার করার ব্যবস্থা রয়েছে এই রেস্তরাঁতে। সাতটি পদের লাঞ্চ বক্সের খরচ মাত্র ২২০ টাকা। রয়েছে ইমিউনিটি বুস্টার হেলথ প্ল্যাটারও, তাও মাত্র ২৫০ টাকায়। এ ছাড়াও নানা কম্বো অফার রয়েছে ‘গ্রেস’-এ। তাহলে আর দেরি কেন? চেখে দেখেই বলুন তো কেমন লাগল!

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন