উৎসবের মরশুম এখনও চলছে। সামনেই কালীপুজো ও ভাইফোঁটা। সেই আমেজেই বাড়িতে বানিয়ে ফেলুন জিভে জল আনা ডাব চিংড়ি! এর জন্য উপকরণ হিসাবে লাগবে - গলদা বা বাগদা চিংড়ি: ৫০০ গ্রাম, মাঝারি শাঁসযুক্ত ডাব: ১টি (বাটা মশলা ও পরিবেশনের জন্য), সর্ষের তেল (কাঁচা): ৩ টেবিল চামচ, নুন ও হলুদ: স্বাদ মতো। প্রথমেই ডাব থেকে জল ও শাঁস সাবধানে আলাদা করে নিন।
এ ছাড়াও বাটা মশলার উপকরণ হিসাবে প্রয়োজন হবে - সাদা সর্ষে: ২ টেবিল চামচ, পোস্ত: ১ টেবিল চামচ, ডাবের শাঁস (মালাই): ২-৩ টেবিল চামচ, কাঁচা লঙ্কা: ৫-৬টি (ঝাল অনুযায়ী)। এই সমস্ত উপকরণ অল্প ডাবের জল দিয়ে মিহি করে বেটে নিন।
গ্রেভি তৈরির অন্যান্য উপকরণ হিসাবে লাগবে - নারকেলের ঘন দুধ: ১/২ কাপ, ডাবের জল: ১/২ কাপ (প্রয়োজন মতো), চিনি: ১ চা চামচ (স্বাদ মতো), ঘি: ১ চা চামচ (রান্নার শেষে ব্যবহারের জন্য)। নারকেলের দুধ গ্রেভিকে ক্রিমি করে তুলবে।
এ বার পরিষ্কার করে রাখা চিংড়িতে সামান্য নুন ও হলুদ এবং কাঁচা সর্ষের তেল (১ টেবিল চামচ) মাখিয়ে নিন। চিংড়ি ১০ মিনিট ম্যারিনেট হতে দিন। (এই ম্যারিনেটেড চিংড়ি অনেকে সরাসরি ডাবে ভরেন, অনেকে হালকা ভেজে নেন। খাঁটি রেসিপিতে সরাসরি ভরা হয়।)
এ দিকে, একটি বড় পাত্রে বাটা মশলা (সর্ষে, পোস্ত, লঙ্কা, ডাবের শাঁস) নিন। এতে নারকেলের ঘন দুধ ও বাকি ডাবের জল মেশান। নুন, হলুদ ও চিনি মিশিয়ে গ্রেভি তৈরি করুন। এ বার বাকি কাঁচা সর্ষের তেল মিশিয়ে দিন।
এর পরে ম্যারিনেট করা চিংড়ি মাছগুলি ডাবের মধ্যে ভরে দিন। এ বার তৈরি করে রাখা গ্রেভির মিশ্রণটি ডাবের মধ্যে ঢেলে দিন। ডাবের মুখ পর্যন্ত ভরে দেবেন না, কিছুটা জায়গা খালি রাখুন। ডাবের ভিতরের দেওয়ালে লেগে থাকা শাঁস গ্রেভিকে আরও সুস্বাদু করবে।
এর পরে আটা বা ময়দা মেখে নরম ডো তৈরি করুন। এই ডো দিয়ে ডাবের কাটা মুখটি ভাল ভাবে বন্ধ করে দিন। কোনও ভাবেই যেন বাষ্প বা জল ভিতরে ঢুকতে না পারে (সিল করার জন্য অনেকে ডাবের কেটে রাখা মুখটি ব্যবহার করেন)।
একটি বড় সসপ্যান বা প্রেশার কুকারে জল গরম করুন। জলের উপর স্ট্যান্ড বসিয়ে সিল করা ডাবটি তার উপরে বসান। জল যেন ডাবের সিল করা অংশের নীচে থাকে। ৪০ থেকে ৬০ মিনিটের জন্য মাঝারি আঁচে ভাপে রান্না করুন। যদি প্রেশার কুকারে রান্না করেন, তা হলে কোনও সিটি দেবেন না।
সময় হয়ে গেলে সাবধানে ডাবটি বার করে নিন। ডাবের সিল করা আটার মণ্ডটি সাবধানে কেটে বাদ দিন। রান্না শেষে তাতে এক চামচ ঘি মিশিয়ে দিন। ঘি ডাব চিংড়ির সুগন্ধ ও স্বাদ বহু গুণ বাড়াবে।
ডাবের খোলাতেই গরম গরম পরিবেশন করুন এই বিশেষ পদ। ডাব চিংড়ি সাধারণত গরম ভাত বা পোলাওয়ের সঙ্গে দারুণ মানায়। ভাইফোঁটা ও কালীপুজোর উৎসবের মেনুতে এটি আনবে ষোলো আনা বাঙালিয়ানার স্বাদ। (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।)