ভাইফোঁটা মানে কেবল ভাইয়ের মঙ্গল কামনা নয়, জমে থাকা অনেক দিনের আড্ডা এবং সঙ্গে কবজি ডুবিয়ে খাওয়া দাওয়াও বটে! আর এই বিশেষ দিনে কম বেশি সবার বাড়িতেই এলাহী আয়োজনের ব্যবস্থা থাকে। এই দিনটিতে ভাইকে নানা রকম পদের সঙ্গে চমকে দিন এঁচোড় পাতুরি রেঁধে। ভেটকি পাতুরি, ছানার পাতুরি তো অনেক খেয়েছেন, স্বাদ বদলাতে বানিয়ে ফেলুন এই পদ।
এঁচোড় পাতুরি বানাতে কী কী লাগবে চলুন জেনে নেওয়া যাক। এঁচোড় পাতুরি বানানোর জন্য টুকরো করে কেটে রাখা এঁচোড় তো অবশ্যই লাগবে। সঙ্গে লাগবে নুন, হলুদ গুঁড়ো, সর্ষের তেল, কাঁচা লঙ্কা, চিনি, টমেটো কুচি, নারকেল কোরা, চারমগজ, কালো জিরে, সাদা সর্ষে, কালো সর্ষে। এ ছাড়া কলাপাতা এবং দড়িও লাগবে।
সবার আগে এঁচোড়ের টুকরোগুলো ভাল করে ধুয়ে প্রেসার কুকারে সেদ্ধ করতে হবে। কুকারে এঁচোড় দিয়ে সঙ্গে দিয়ে দিন পরিমাণ মতো নুন এবং হলুদ গুঁড়ো। ঢাকনা দিয়ে সেদ্ধ করে নিন একটা বা দুটো সিটি দিয়ে।
তত ক্ষণে একটা মিশ্রণ বানিয়ে নিন। এটার জন্য লাগবে সাদা সর্ষে, কালো সর্ষে, চারমগজ, ৪-৫ টা কাঁচা লঙ্কা, দুই চামচ নারকেল কোরা। গোটাটা সামান্য জল দিয়ে মিক্সিতে বেটে নিন।
ও দিকে এঁচোড় সেদ্ধ হয়ে গেলে প্রেসার কুকার থেকে বের করে হাত দিয়ে মেখে নিন।
তার পর কড়াইয়ে সর্ষের তেল দিন। তেল গরম হলে কালো জিরে ফোড়ন দিয়ে এঁচোড়টা দিয়ে দিন। হালকা লাল করে ভেজে তুলে নিন।
এ বার এতে দিয়ে দিন নারকেল সর্ষের মিশ্রণটা। সঙ্গে দিয়ে দিন স্বাদ মতো চিনি, নুন। দিন টমেটো কুচি, এক থেকে দুই চামচ নারকেল কোরা, হলুদ গুঁড়ো এবং সর্ষের তেল।
এ বার গোটাটা ভাল করে হাত দিয়ে মেখে নিন।
এ বার কলাপাতাগুলো ধুয়ে আগুনে হালকা সেঁকে নিন।
তার পর সেই কলাপাতাগুলোয় পরিমাণ মতো এই মিশ্রণ দিয়ে দিন। সঙ্গে দিন এক ফোঁটা সর্ষের তেল, একটা চেরা কাঁচা লঙ্কা এবং এক টুকরো নারকেল। এ বার ভাল করে পেঁচিয়ে দড়ি দিয়ে বেঁধে নিন।
একই ভাবে বাকি পাতুরি তৈরি করে নিন।
এ বার ওভেনে একটা প্যান বসিয়ে তাতে সর্ষের তেল দিন। তেল গরম হলে পাতুরিগুলি দিয়ে ঢাকা দিয়ে আঁচ কমিয়ে ১০ মিনিট রাখুন।
এক পিঠ সেঁকা হয়ে গেলে ঢাকনা খুলে উল্টে দিন। একই ভাবে এই দিকটাও ১০ মিনিট হতে দিন ঢাকনা চাপা দিয়ে।
তার পর নামিয়ে নিয়ে গরম গরম দুপুরবেলা ভাত এবং অন্যান্য পদের সঙ্গে পরিবেশন করুন। (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ)।