লক্ষ্মীপুজোয় ভোগে খিচুড়ি রাখতেই হয়। কিন্তু এ বার দেবীকে সাধারণ খিচুড়ি নৈবেদ্যতে সাজিয়ে দেওয়ার বদলে ভুনা খিচুড়ি বানিয়ে দিন। কী ভাবে সহজেই এটা বাড়িতে বানিয়ে নেবেন জেনে নিন।
ভুনা খিচুড়ি বানানোর জন্য লাগবে গোবিন্দভোগ চাল, সোনামুগ ডাল, ঘি, সাদা তেল, তেজপাতা, এলাচ, দারুচিনি, লবঙ্গ, শুকনো লঙ্কা, গোটা কাঁচা লঙ্কা, কাঁচা লঙ্কা কুচি, জিরে, আদা কুচি, কাজুবাদাম, আমন্ড, কিশমিশ, নারকেল কোরা, হলুদ গুঁড়ো, নুন, চিনি।
লক্ষ্মীর ভোগের জন্য ভুনা খিচুড়ি বানাতে চাইলে ২৫০ গ্রাম গোবিন্দভোগ চাল ভাল করে ধুয়ে, অন্তত আধ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে। তত ক্ষণে ওভেনে একটি কড়াই বসিয়ে তাতে শুকনো খোলায় সমপরিমাণ সোনামুগ ডাল আঁচ কমিয়ে ভেজে নিন। ডালের রং বদলে গেলে সেটা নামিয়ে ভাল করে ধুয়ে রেখে দিন।
এ বার ওই কড়াইয়ে দিয়ে দিন সাদা তেল এবং ঘি। গরম হয়ে গেলে তাতে তেজপাতা, জিরে, লবঙ্গ, দারচিনি, এলাচ এবং শুকনো লঙ্কা ফোড়ন দিন। হালকা নেড়ে নিন।
এর পর তাতে দিয়ে দিন আদা কুচি এবং কাঁচা লঙ্কা কুচি। আবারও ভাল করে নেড়ে নিয়ে তাতে এক চামচ নুন, এক চামচ আদা বাটা দিয়ে দিন। ভাল করে কষিয়ে নিন।
তার পর যোগ করে দিন কাজুবাদাম, খোসা ছাড়ানো আমন্ড এবং কিশমিশ। দিতে পারেন সামান্য নারকেল কোরাও। হালকা নেড়ে নিন।
কড়াইয়ে এ বার যোগ করুন ভিজিয়ে রাখা চাল। তবে অবশ্যই আগে জল ঝরিয়ে নেবেন। দিয়ে দিন ধুয়ে রাখা ডালও। আবারও সবটা ভাল করে মিশিয়ে নিন।
এ বার কড়াইয়ে দিন এক চামচ হলুদ গুঁড়ো, ৪-৫ টা কাঁচা লঙ্কা। আগে নুন দিয়েছিলেন, তাই সেটা মাথায় রেখে স্বাদমতো আরও একটু নুন দিয়ে দিন। ভাল করে নাড়তে থাকুন যাতে হলুদের কাঁচা গন্ধ চলে যায়।
আঁচ একদম কমিয়ে উষ্ণ গরম জল ঢেলে দিন। যতটা চাল, ডাল আছে তার দ্বিগুণ জল দেবেন। এ বার এতে দিন স্বাদমতো চিনি। ভাল করে মিশিয়ে ঢাকনা দিয়ে দিন। আঁচ বাড়িয়ে ফুটতে দিন অন্তত মিনিট পাঁচেক।
এর পর ঢাকনা খুলে আরও এক বার নাড়িয়ে ঢাকনা দিয়ে আঁচ কমিয়ে আরও মিনিট পাঁচেক হতে দিন। তার পর নামিয়ে ভোগের থালায় পরিবেশন করুন এই ভুনা খিচুড়ি। ( ‘আনন্দ উৎসব ২০২৫’-এর সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছেন একাধিক সহযোগী। প্রেজ়েন্টিং পার্টনার ‘মারুতি সুজ়ুকি অ্যারেনা’। অন্যান্য সহযোগীরা হলেন ওয়েডিং পার্টনার ‘এবিপি ওয়ানস্টপ ওয়েডিং’, ফ্যাশন পার্টনার ‘কসমো বাজ়ার’, নলেজ পার্টনার ‘টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি’, ব্যাঙ্কিং পার্টনার ‘ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া’, কমফোর্ট পার্টনার ‘কার্লন’)। (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ)।