১. পুজোর ভোজ মানেই মিষ্টি ছাড়া অসম্পূর্ণ। লাড্ডু, সন্দেশ, রসগোল্লা—এই তিনে বাঙালির ভোজের ইতিহাস লেখা। এ বার সেই তালিকায় এক অভিনব সংযোজন—গুলাব জামুন চিজ় কেক।
২. এক দিকে সেই পুরনো স্বাদের ভেজা গুলাব জামুন, অন্য দিকে আধুনিকতার আভাস চিজ় কেকে। দু’য়ের মেলবন্ধনে তৈরি হচ্ছে এমন এক মিষ্টি, যা একই সঙ্গে জমিয়ে দেবে পুজোর আড্ডা আর ভোজের টেবিল।
৩. তৈরি করা কিন্তু মোটেই কঠিন নয়। বাজারে সহজেই পাওয়া যায় গুলাব জামুন, আর বাকি উপাদান—ক্রিম চিজ়, বিস্কুট, মাখন, ফ্রেশ ক্রিম, চিনি— সবই ঘরে মজুত থাকে সাধারণত।
৪. প্রথম ধাপে বিস্কুট মিহি করে গুঁড়ো করে নিতে হবে। মাখনের সঙ্গে মিশিয়ে চেপে বসাতে হবে কেক টিনের তলায়। এই স্তর হবে বেস।
৫. এর পরের ধাপে ক্রিম চিজ়, চিনি আর ফ্রেশ ক্রিম মিশিয়ে নিতে হবে মসৃণ ভাবে। মিশ্রণে ঢুকে যাবে গুলাব জামুনের ছোট ছোট টুকরো।
৬. মিশ্রণ ঢেলে দিতে হবে বিস্কুট বেসের উপরে। এর পরে ফ্রিজ়ে রাখতে হবে অন্তত চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা। ঠান্ডা হলেই জমে উঠবে আসল চিজ় কেকের রূপ।
৭. উপরে সাজিয়ে দেওয়া যায় গোটা গুলাব জামুন, পেস্তা কুচি আর হালকা গোলাপ জলের ঝাপটা। ব্যস! পুজোর ভোজের জন্য একদম তৈরি!
৮. ভোগের টেবিলে এ কেক উঠলেই চর্চার ফোয়ারা ছুটবে। কারও মনে হবে, মিষ্টির রাজকুমার গুলাব জামুন নতুন পোশাকে হাজির, কারও কাছে আবার এটি ‘ফিউশন ডেজ়ার্ট’-এর একেবারে নিখাদ উদাহরণ।
৯. পুজোর সন্ধেয় আড্ডা কিংবা ভোগ শেষে পারিবারিক ভোজ—সব ক্ষেত্রেই এই মিষ্টি জমিয়ে দেবে মুহূর্ত।
১০. এক ঢিলে দুই পাখি—প্রথা আর আধুনিকতার মেলবন্ধন। মিষ্টির ভাণ্ডারে নতুন গল্প জুড়বে এই গুলাব জামুন চিজ় কেক।
১১. মিষ্টিপ্রেমীরা ইতিমধ্যেই বলছেন, পুজোর বাজারে যদি নতুন ট্রেন্ড আসে, তবে সেটা এই ফিউশন রেসিপিই।
১২. ভোগের থালা থেকে উৎসবের জমাটি আসর— গুলাব জামুন চিজ় কেক হবে এ বার পুজোর আলোচনার আসল আকর্ষণ। (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ। )