দুর্গাপুজো শুরু হয়ে গিয়েছে। অষ্টমীর পালা সাঙ্গ হলে বলে! এর পরেই নবমী। ওই দিনের আমিষ পদে রেঁধে ফেলুন চিংড়ি মাছের মুইঠ্যা! যা পুজোর ভোজে বাড়তি আনন্দ যোগ করবেই! আপনারই জন্য রইল রান্নার পুরো রেসিপি।
এই রান্না করতে আপনার লাগবে - চিংড়ি মাছের কিমা (২০০-২৫০ গ্রাম), সেদ্ধ আলু (১টি মাঝারি), পেঁয়াজ বাটা/কুচি (১টি বড়), আদা-রসুন বাটা (১ টেবিল চামচ), হলুদ (পরিমাণ মতো), নুন (পরিমাণ মতো), সামান্য চালের গুঁড়ো বা বেসন (মুইঠ্যা বাঁধতে), টোম্যাটো বাটা বা পেস্ট (২টি মাঝারি - অথবা টোম্যাটো পিউরি-ও ব্যবহার করতে পারেন) এবং জিরে-ধনে গুঁড়ো (১ চা চামচ, গরম মশলা গুঁড়ো (১ চা চামচ), গোটা গরম মশলা (দারচিনি আধ ইঞ্চি, ছোট এলাচ ২টি, লবঙ্গ ৪টি), ঘি (১ চামচ), গোটা জিরে (১ চামচ), তেজপাতা (৩-৪টি), শুকনো লঙ্কা (২টি)।
চিংড়ি মাছ ভাল করে পরিষ্কার করে এবং ধুয়ে সামান্য নুন ও হলুদ গুঁড়ো দিয়ে মিহি করে বেটে নিন অথবা মিক্সিতে কিমা করে নিন। কিমায় যেন জল না থাকে, সে দিকে খেয়াল রাখবেন।
কিমার সঙ্গে সেদ্ধ আলু চটকে মেশান। এর মধ্যে পেঁয়াজ কুচি, কাঁচা লঙ্কা কুচি, সামান্য আদা-রসুন বাটা, নুন, চিনি ও গরম মশলার গুঁড়ো মেশান। মিশ্রণ নরম হয়ে গেলে ১ চামচ চালের গুঁড়ো বা বেসন ব্যবহার করতে পারেন।
এর পরে হাতের তালুতে সামান্য তেল মেখে নিন। তৈরি করা মিশ্রণ থেকে অল্প অল্প অংশ নিয়ে মুঠো করে বা গোল/ডিম্বাকৃতি কোফতার আকার দিন। মুইঠ্যা যেন মসৃণ হয়, সে দিকে খেয়াল রাখবেন।
একটি পাত্রে জল গরম করে সামান্য নুন দিন। জল ফুটলে সাবধানে মুইঠ্যাগুলি জলে ছেড়ে দিন। ৭-১০ মিনিট সেদ্ধ করুন। জলের উপরে মুইঠ্যাগুলি ভেসে উঠলেই বুঝবেন সেগুলি তৈরি হয়ে গিয়েছে। এ ভাবে সেদ্ধ করে নিলে মুইঠ্যা আর ভেঙে যায় না।
সেদ্ধ মুইঠ্যা জল থেকে তুলে পুরোপুরি ঠান্ডা করুন। এ বার কড়ায় সর্ষের তেল গরম করে মুইঠ্যাগুলি মাঝারি আঁচে হালকা সোনালি করে ভেজে নিন। এটি মুইঠ্যার স্বাদ বাড়ায় ও কাঠামো আরও দৃঢ় করে।
এ বার অন্য একটি কড়ায় আর একটু তেল দিয়ে তেজপাতা, গোটা জিরে, শুকনো লঙ্কা ও গোটা গরম মশলা (এলাচ, দারচিনি, লবঙ্গ) ফোড়ন দিন। সুগন্ধ বার হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। ফোড়ন দেওয়ার পরে পেঁয়াজ বাটা ও আদা-রসুন বাটা দিয়ে কষান। এরপর টোম্যাটো বাটা বা পিউরি, হলুদ, লঙ্কা গুঁড়ো, জিরে ও ধনে গুঁড়ো এবং পরিমাণ মতো নুন ও চিনি যোগ করুন। মশলা থেকে তেল ছেড়ে আসা পর্যন্ত কষাতে থাকুন।
মশলা কষানো হয়ে গেলে গরম জল দিন। আপনি চাইলে এই সময়ে নারকেলের দুধ দিয়ে মুইঠ্যার মালাইকারিও করতে পারেন। ঝোল ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মুইঠ্যাগুলি সাবধানে ঝোলে ছেড়ে দিন। মৃদু আঁচে ৫ মিনিট রান্না করুন। সবশেষে সামান্য গরম মশলার গুঁড়ো ও ঘি ছড়িয়ে দিন।
গরম ভাত, সুগন্ধি পোলাও বা রুটি-পরোটার সঙ্গে পরিবেশন করুন আপনার হাতের তৈরি এই সুস্বাদু চিংড়ি মাছের মুইঠ্যা! দেখবেন এ বারের ভূরিভোজ কেমন জমে যায়! ‘আনন্দ উৎসব ২০২৫’-এর সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছেন একাধিক সহযোগী। প্রেজ়েন্টিং পার্টনার ‘মারুতি সুজ়ুকি অ্যারেনা’। অন্যান্য সহযোগীরা হলেন ওয়েডিং পার্টনার ‘এবিপি ওয়ানস্টপ ওয়েডিং’, ফ্যাশন পার্টনার ‘কসমো বাজ়ার’, নলেজ পার্টনার ‘টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি’, ব্যাঙ্কিং পার্টনার ‘ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া’, কমফোর্ট পার্টনার ‘কার্লন’। (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।)