Street Food Joints

বাগবাজার যাচ্ছেন ঠাকুর দেখতে? পেটপুজো সারতে পারেন এই জনপ্রিয় স্ট্রিটফুডের ঠেকগুলিতে

দুর্গাপুজোয় এক দিন বাগবাজারে যাওয়া চাই-ই চাই। কিন্তু কোথায় পেটপুজো সারবেন বুঝতে পারছেন না? জেনে নিন এখানকার কিছু সেরা স্ট্রিট ফুডের দোকানের হদিস।

Advertisement
আনন্দ উৎসব ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৯:৫৯
Share:
০১ ১২

দুর্গাপুজোয় একটা দিন উত্তর কলকাতার জন্য বরাদ্দ থাকেই। আর উত্তরে ঠাকুর দেখতে গেলে বাগবাজার একেবারেই মিস করা যায় না! আর ঠাকুর দেখা মানে তো কেবল প্রতিমা দর্শন বা মণ্ডপ থেকে মণ্ডপে ঘোরা নয়! তাতে থাকে পেটপুজোও। আপনারও কি এ বার এক দিন বাগবাজারের দিকে যাওয়ার প্ল্যান হয়েছে? তবে এই জনপ্রিয় স্ট্রিট ফুডের দোকানগুলিতে ভূরিভোজ সারতেই পারেন।

০২ ১২

নীলাচলের কচুরি: বাগবাজার গেলে ‘নীলাচলের কচুরি’ একেবারেই ছাড়া যাবে না! কিন্তু শুধু কি সেখানকার বিখ্যাত ফিশ কচুরি খাবেন? সঙ্গে পেয়ে যাবেন ফিশ ওরলি, ফিশ ব্যাটার ফ্রাই, চাউমিন-সহ একাধিক পছন্দের খাবার।

Advertisement
০৩ ১২

গণশার মাছের কচুরি: বাগবাজার চত্বরের আরও এক জনপ্রিয় কচুরির দোকান এই ‘গণশার কচুরি’। যদিও এই দোকানের আসল নাম ‘পাল ইটিং হাউজ’। বাগবাজারে ক্ষুদিরামের মূর্তির পাশের গলিতেই রয়েছে এই জনপ্রিয় দোকান। এ বার পুজোয় ওদিকে গেলে সেখানকার এই বিখ্যাত মাছের কচুরি আর আলুর দম খেয়ে দেখবেন নাকি!

০৪ ১২

লালু ভুলুর দোকান: বাগবাজার থেকে হাঁটতে হাঁটতে কুমোরটুলির দিকে যাচ্ছেন? তা হলে কুমোরটুলির ঠাকুর দেখে গঙ্গার ধারে এই দোকানের চর্বি ঘুগনি, হাফ বয়েল ডিম এক বার চেখে দেখতেই পারেন! পাশের দোকানে আবার পাস্তা থেকে ম্যাগি, ফিশ ফ্রাই, চাউমিন-সহ সবই রয়েছে। গঙ্গার ঠান্ডা বাতাস গায়ে মেখে এই লোভনীয় পদগুলি খেতে মন্দ লাগবে না কিন্তু!

০৫ ১২

ব্রোস কাবাব: বাগবাজারে ক্ষুদিরাম মূর্তির ঠিক সামনেই এই দোকান। কম দামে বিভিন্ন ধরনের কাবাব খাওয়ার অন্যতম সেরা ঠিকানা। রেশমি থেকে পেয়ারে, তন্দুরি থেকে হরিয়ালি কাবাব, কী নেই সেখানে!

০৬ ১২

পটলার কচুরি: প্রয়াত অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের পছন্দের দোকান ছিল এটি। তিনি বাগবাজারে অর্থাৎ গিরিশ মঞ্চে কোনও নাটকের শো-তে এলেই এখানে কচুরি খেতেন। এ বার বাগবাজার গেলে তাঁর স্মৃতিধন্য এই দোকান থেকে তেলেভাজা কিংবা কচুরি চেখে দেখাই যায়।

০৭ ১২

ভোলানাথ কেবিন: গিরিশ ঘোষের বাড়ির একদম কাছেই এই দোকানটি। চপ-কাটলেট থেকে চা, যা চাইবেন সব পেয়ে যাবেন।

০৮ ১২

অনির'স: বাগবাজার স্ট্রিটের মুখে এই দোকানে রোল থেকে কাবাব, চাইনিজ থেকে বিরিয়ানি সবই পেয়ে যাবেন। এক বার ঢুঁ মারলে জমিয়ে ভূরিভোজ হবে এই স্ট্রিট ফুডের দোকানটি থেকে।

০৯ ১২

লাল্টু কেবিন: বাগবাজার ঘাটের দিকে যেতে গেলে পথেই এই দোকান। সমস্ত ধরনের ফাস্ট ফুড, মোমো-সহ অনেক কিছুই পাবেন এই দোকানে। তবে এখানে এসে যেটা না খেলেই নয়, তা হল ভাপা চিকেন। ‘লাল্টু কেবিন’-এর ফয়েল প্যাকে মুড়ে বানানো চিকেন ভাপা কিন্তু দারুণ ভাইরাল।

১০ ১২

নবীনচন্দ্র দাশ: পুজোর সময়ে কে-ই বা আর ডায়েট মানে বলুন? এই ক’দিন সব কিছু থেকে ছুটি! তাই অন্যান্য খাবারের পাশাপাশি চলুক মিষ্টিমুখও। আর তার ঠিকানা যদি রসগোল্লার জন্মস্থান হয়, তবে তো কথাই নেই! বাগবাজার গেলে ‘নবীনচন্দ্র দাশ’-এর রসগোল্লা, দই বা অন্যান্য মিষ্টি খেয়ে পেটপুজো শেষ করতে পারেন।

১১ ১২

দ্বারিক গ্র্যান্ড সন্স: মিষ্টির কথা উঠলই যখন, চাখতেই পারেন ‘দ্বারিক গ্র্যান্ড সন্স’-এর মিষ্টি। মনোহরা, লর্ড চমচম, থেকে কমলা ভোগ– কী নেই! চাইলে এখানকার বিখ্যাত রাধাবল্লভীও খেয়ে দেখতে পারেন। স্বাদ মনে রাখার মতো! রয়েছে বিভিন্ন ধরনের নোনতা পদও।

১২ ১২

তবে আর কী, এ বার পুজোয় বাগবাজার গেলে কেবল ঠাকুর দেখা নয়, জমিয়ে চলুক ভূরিভোজ। এই দোকানগুলি ছাড়াও একাধিক অনামী স্ট্রিট ফুডের স্টল রয়েছে। সেখানেও ঢুঁ মারবেন নাকি? ( এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ)।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement