পুজো এলেই সবার মনটা কেমন করে, তাই না? আকাশে তুলো তুলো মেঘ উড়ে বেড়াচ্ছে, বাগানে শিউলি ফুলের মিষ্টি গন্ধ আর কানে ভেসে আসা ঢাকের বাদ্যি—এই তিনের মিশেলে পুজো কেবল একটা উৎসব নয়, বরং একরাশ ভাল লাগা। দুর্গাপুজোর দিনগুলো মানেই তাই আড্ডা, খাওয়াদাওয়া আর অতিথি সমাগম।
অষ্টমীর অঞ্জলি হোক বা বিজয়ার মিষ্টিমুখ, পানীয়ের তালিকায় কিছু না কিছু তো চাই-ই! কিন্তু পুজো মানেই কি শুধু কোমল পানীয় বা কড়া পানীয়? একেবারেই না! এ বারে পুজোর আড্ডায় বরং কিছু অন্য রকম, দেশি স্বাদের পানীয় থাকুক।
কারও কাছে এগুলি অতিথি আপ্যায়নের রেওয়াজ, আবার কারও কাছে পুজোর নস্টালজিয়ার অঙ্গ।
কাঁচা আমের টক-মিষ্টি আম পান্নার সঙ্গে পুদিনার ছোঁয়ায় শুধু স্বাদেই নয়, হজমেও জুড়ি মেলা ভার। রোদজ্বলা দুপুরের ভিড়ে পুজোর বাজার চষে ফেলার পরে এক গ্লাস খেলেই প্রাণ জুড়োবে।
পাশাপাশি গ্রাম বাংলার চেনা স্বাদ ছাতুর শরবত—ভাজা ছোলার গুঁড়ো, লেবু আর নুনে তৈরি। বাংলার পুজো মণ্ডপে আজও বহু জায়গায় এ পানীয়ের চল আছে।
উত্তর ভারতের স্বাদ জলজিরা, জিরে, পুদিনা আর শুকনো আমচুর দিয়ে বানানো, পেট ভরেও হালকা রাখে।
ঠিক উল্টো পিঠে বাংলার ঘরোয়া ছোঁয়া—গন্ধরাজ লেবুর সোডা।
উপবাসের দিনে হোক বেলের শরবত। কদবেল মাখা শরবতের সুবাস, দারুণ মিশ্রণ হতে পারে।
দুধের ছোঁয়ায় রাজকীয় ঠান্ডাই আর কেশর বাদাম দুধ পুজোর কোলাহলে যেন মিষ্টি পরশ আনে।
সব শেষে বাঙালির নস্ট্যালজিয়া, অভ্যাস, আড্ডার চিরন্তন অঙ্গ– চা। আড্ডা জমে চায়ের কাপেই। (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ)।