প্রতীকী চিত্র
থালাভরা ধোঁয়া ওঠা ভাত। এমন সময়ে পাতে পড়ল গরম গরম শুক্তো। ভেবেই জিভে জল, তাই তো? বাঙালি পদের ভিড়ে শুক্তোর জুড়ি মেলা ভার। মধ্যাহ্নভোজে শুক্তো খেলে এই গরমে যেমন শরীর ঠান্ডা থাকে, তেমনই পাতে মাছ-মাংস আসার আগে স্বাদকোরকেও এক অন্য মাত্রা আনে।
এই শুক্তোর কিন্তু বৈচিত্রও আছে বেশ। উচ্ছে-দুধ শুক্তো চেখে দেখেছেন কখনও? এই পুজোয় নিরামিষ ভোগে থাকুক ঠাকুরবাড়ির এই জনপ্রিয় পদ। কী ভাবে বানাবেন? রইল সহজ রেসিপি।
কী কী লাগবে?
২-৩টি করলা
১টি কাঁচকলা
৪-৫টি সজনে ডাঁটা
২টি পেঁপে
১০টি বড়ি
২ টেবিল চামচ সর্ষের তেল
১ চা-চামচ গোটা সর্ষে
১ টেবিল চামচ পাঁচফোড়ন
১টি তেজপাতা
২টি শুকনো লঙ্কা
অর্ধেক চা-চামচ হলুদগুঁড়ো
পরিমাণমতো নুন এবং চিনি
অর্ধেক কাপ জল
২ কাপ দুধ
১ চা চামচ আদা বাটা
১ টেবিল চামচ পোস্ত বাটা বা সর্ষে বাটা
রন্ধনপ্রণালী
প্রথমে সবজিগুলিকে লম্বা করে কেটে নিয়ে ভাল করে ধুয়ে নিন। তার পরে কড়াইতে তেল গরম করে সব সব্জি দিয়ে নাড়াচাড়া শুরু। নুন-হলুদ মিশিয়ে সামান্য কষিয়ে পরিমাণ মতো জল দিয়ে ঢেকে রেখে দিন। কম আঁচে ফুটতে দিন ৫-৬ মিনিট।
শুকনো খোলায় রাঁধুনি ভেজে নিয়ে হামানদিস্তায় রেখে দিতে পারেন। একই ভাবে বড়িগুলিকেও ভেজে তুলে নিলে খেতে আরও সুস্বাদু হয়।
কড়াইতে তেল গরম করে ফোড়ন দিয়ে বড়ি ভেজে তাতে বাটামশলা দিয়ে নাড়াচাড়া করতে হবে। তার পরে সব সবজি মিশিয়ে নিয়ে ঢেলে দিন দুধ আর ঘি। এখানেই কাজ শেষ। এর পরে নামিয়ে নিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন পাতে। সামান্য ঘি ছড়িয়ে নিলে এই স্বাদ আরও অতুলনীয় হয়ে উঠবে।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।