গ্রিন ক্র্যাকার্স - পরিবেশবান্ধব বাজির জয়জয়কার: কালীপুজো মানেই আলোর রোশনাই আর বাজির ফাটানোর আনন্দ! কিন্তু পরিবেশ দূষণের কথা মাথায় রেখে এখন বাজারে ছেয়ে গিয়েছে 'সবুজ বাজি'র পসরায়। এই বাজিগুলিতে ক্ষতিকারক রাসায়নিকের ব্যবহার কম হওয়ায়, সাধারণ বাজির তুলনায় প্রায় ৩০% কম দূষণ হয়। পরিবেশ রক্ষা করেই এ বার পুজো হোক আরও জমকালো!
নতুন বাজির আকর্ষণ - আকাশে 'ড্রোন চড়কি': প্রতিযোগিতার বাজারে বিক্রেতারা নিয়ে এসেছেন নতুন চমক! সাধারণ চড়কির বদলে এখন পাওয়া যাচ্ছে 'ড্রোন চড়কি'! এ ছাড়া বাজারে এসেছে 'হেলিকপ্টার' এবং 'ফান রাইডার'-এর মতো নতুন বাজি! এই বাজিগুলি দেখতে অনেকটা খেলনা গাড়ির মতো। যা ফাটানোর পরে এগিয়ে যায়।
পমপম - জলে ফাটানো বাজি: এ বারের বাজির বাজারে অন্যতম নতুন আকর্ষণ হল 'পমপম' বাজি! এই বাজিগুলি নাকি জলে ফেললেও ফাটে! যা দেখে অবাক অনেকেই। ভিন্ন ধাঁচের এই বাজিগুলি ইতিমধ্যেই বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
'রাইডার' ও 'সাইক্লোন' - গতিময় বাজি: শিশুদের কাছে জনপ্রিয় নতুন বাজির মধ্যে রয়েছে 'রাইডার' এবং 'সাইক্লোন'। রাইডার বাজি অনেকটা খেলনা গাড়ির মতো যা তুবড়ির মতো আলো জ্বালিয়ে মাটিতে চলতে থাকে। সাইক্লোনও দ্রুত ঘূর্ণায়মান বাজির মধ্যে নতুন সংযোজন।
চিরন্তন 'তুবড়ি' - যার আবেদন আজও অমলিন: আলোর উৎসবে অন্যতম জনপ্রিয় বাজি হল 'তুবড়ি'। মাটির ছোট বাটির মধ্যে এই বাজি বসিয়ে আগুন দেওয়া হয়, আর তা থেকে আলোর ফুলকি ক্রমশ উপরের দিকে উঠতে থাকে। এই বাজির আবেদন আজও অমলিন।
ফুলঝুরি - আলোর তারার ঝলক: কালীপুজোর সন্ধ্যায় ফুলঝুরি ছাড়া উৎসব যেন অসম্পূর্ণ! হাতে ধরা এই বাজি থেকে মৃদু আলোয় আগুনের ছোট ছোট তারা বেরোতে থাকে, যা দেখতে দেখতে মন আনন্দে ভরে যায়। ছোটদের জন্য এটি সবথেকে নিরাপদ এবং জনপ্রিয় বাজি।
চড়কি - বোঁ বোঁ করে ঘোরা আলোর নাচন: মাটিতে বসিয়ে সলতেয় আগুন দিলেই চড়কি দ্রুত গতিতে ঘুরতে থাকে। আলোর বৃত্ত তৈরি করে মাটিতে বোঁ বোঁ করে ঘোরা এই বাজি মন মুগ্ধ করে তোলে। চড়কি বাজি আজও বাজির তালিকা থেকে বাদ পড়ে না।
রকেট ও প্যারাসুট - আকাশে আলোর খেলা: আকাশে আলোর খেলা দেখতে পছন্দ করেন? তা হলে অবশ্যই কিনে ফেলুন রকেট এবং প্যারাসুট। সশব্দে আকাশে উঠে রকেট বাজি বিভিন্ন রঙের আলোর ছটা ছড়ায়। আর প্যারাসুট বাজি আকাশে উঠে আলো সহকারে ধীরে ধীরে নেমে আসে।
পুরনো শব্দবাজি - সাবধানতা আবশ্যক: শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য বেশির ভাগ শব্দবাজিই আজ নিষিদ্ধ। কিন্তু, একটা সময় ছিল, যখন বাজি বাজারে চকলেট বোমা বা কালীপটকার রমরমা ছিল। তবে, মনে রাখবেন – বর্তমানে শুধুমাত্র সরকার ও প্রশাসন দ্বারা অনুমোদিত সবুজ বাজি (নির্দিষ্ট ডেসিবেলের মধ্যে শব্দ সৃষ্টিকারী) পোড়ানোই আইনসম্মত। তাই, অবশ্যই নিরাপদ ও দায়িত্বশীল ভাবে বাজি পোড়ান।
সবুজ বাজি চিনবেন কী ভাবে: দূষণ কমিয়ে এ বার কালীপুজো হোক আনন্দময়! সবুজ বাজি চেনার সহজ উপায় হল - বাজির প্যাকেটে সিএসআইআর-এনইইআরআই অনুমোদিত লোগো এবং একটি কিউআর কোড থাকবে - সংশ্লিষ্ট লোগো দেখে এবং কিউআর কোডটি স্ক্যান করে আপনি বাজির পরিবেশবান্ধব হওয়ার প্রমাণ যাচাই করতে পারবেন। আর, সেটা করার পরেই বাজি কিনুন। পরিবেশ বাঁচান ও উৎসবের আনন্দে মেতে উঠুন! (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।)