দীপাবলির উদ্যাপন শেষ না হতে হতেই ভাইফোঁটা। এ দিন ভাইয়ের মঙ্গল কামনা চাওয়ার পাশাপাশি চলে কবজি ডুবিয়ে খাওয়া দাওয়া। বাদ যায় না মদ্যপান।
ফলে মাথাধরা এবং শরীরে অস্বস্তি- এই সব তো থেকেই যায়। এ দিকে পর দিন আবার অফিস!
আগের রাতের হ্যাংওভার নিয়ে তো আর অফিস যাওয়া যাবে না! তা হলে উপায় কী? চিন্তা নেই। কিছু ঘরোয়া টোটকাতেই মিলবে সমাধান।
কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার হ্যাংওভার থেকে বাঁচানোর বড় হাতিয়ার। ভাত, রুটি খেলে যেমন এনার্জিও মিলবে, তেমনই শরীর থেকে কাটবে ক্লান্তি ভাবও।
পরীক্ষার আগের নির্ঘুম রাতের সঙ্গী হিসেবে অনেক সময়তেই উপস্থিত থাকে কফি। এতে রয়েছে ক্যাফিন যা শরীরের ক্লান্তি দূর করে। হ্যাংওভারের ক্ষেত্রেও এটি মোক্ষম ওষুধ। তবে দুধ দেওয়া কফির পরিবর্তে ব্ল্যাক কফি খাওয়াই শ্রেয়।
শরীরচর্চাও করতে পারেন। তবে বিছানা ছাড়তে ইচ্ছে না-ও করতে পারে। এ ক্ষেত্রে খানিক জোর করেই হাঁটাহাঁটি করুন। জানলা খুলে আলো-হাওয়ায় দাঁড়ান। শরীরের অস্বস্তি অনেকটাই কাটবে।
আদা চা-ও হতে পারে দারুণ উপায়। আদা গা-বমি ভাব দূর করে এবং আলস্য ভাব কাটায়। জলে আদা ফুটিয়ে সামান্য চুমুকেই মিলবে সমাধান।
শরীর চনমনে করতে পুদিনার জুড়ি মেলা ভার! চায়ের সঙ্গে আদা এবং পুদিনা ফুটিয়ে নিন। তার পর সেটিকে পান করুন। মিটবে গ্যাসের সমস্যাও।
চিকিৎসকরা বলেন, ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল খেলেও উপকার পাওয়া যায়।
কিছু খেতে ইচ্ছে না করলে লেবু, আপেল অথবা আমলকী চিবিয়ে নিন জোর করেই। ফল পাবেন দ্রুত।
সঠিক পরিমাণ জল শরীরকে চনমনে রাখতে সাহায্য করে। মদ্যপানের সময়ে অনেকটাই জল বেরিয়ে যায় শরীর থেকে। অল্প অল্প করে বারবার জল পান করুন।
এই বিষয়টি মধ্যপানের আগেই মাথায় রাখা প্রয়োজন। মদ্যপানের আগে প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন। এতে সহজে নেশা হয় না। প্রতিকারের চেয়ে বেশি সতর্কতা প্রয়োজন। (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।)