Waist Pain Remedies

পুজোর প্যান্ডেল হপিংয়ের ঠেলায় বিধ্বস্ত কোমর? ব্যথা কমাবেন কোন উপায়ে?

ব্যথা ক্রমে অসহ্য হয়ে উঠলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

Advertisement

আনন্দ উৎসব ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০২৫ ১৮:৪৩
Share:

প্রতীকী চিত্র।

দেবীপক্ষের সূচনা থেকে মায়ের বিসর্জন - বাঙালির জীবনে দুর্গাপুজো মানেই নিরন্তর আনন্দ আর অফুরান উদ্যম। প্যান্ডেলে-প্যান্ডেলে ঘোরার লম্বা লাইন, হাঁটা পথে দীর্ঘ পথ অতিক্রম করা কিংবা এক প্যান্ডেল থেকে অন্য প্যান্ডেলে যাওয়ার জন্য দীর্ঘ ক্ষণ গাড়িতে বা বাসের সিটে বসে থাকা — এ সবই উৎসবের অপরিহার্য অঙ্গ। কিন্তু, এই অতিরিক্ত পরিশ্রমের ফলস্বরূপ অনেককেই এখন ভোগাচ্ছে কোমরের তীব্র বা মৃদু ব্যথা।

Advertisement

চিকিৎসকদের মতে, পুজোয় অতিরিক্ত হাঁটাহাঁটি বা দীর্ঘ সময় একই ভঙ্গিমায় বসে থাকার ফলে মেরুদণ্ড এবং কোমরের পেশিগুলিতে চাপ পড়ে। এই ক্লান্তিজনিত ব্যথা কমাতে এবং দ্রুত স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে মেনে চলতে হবে কিছু সহজ নিয়ম। কোমরের ব্যথা কমানোর জন্য নীচে বিস্তারিত তথ্য ও পরামর্শ দেওয়া হল:

১. উষ্ণ বা ঠান্ডা সেঁক

Advertisement

ঠান্ডা সেঁক (প্রথম ৪৮ ঘণ্টা): ব্যথা শুরু হওয়ার প্রথম ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আক্রান্ত স্থানে বরফের সেঁক দিন। একটি কাপড়ে বরফ মুড়ে ১০-১৫ মিনিট ধরে সেঁক দিলে প্রদাহ এবং ফোলা ভাব কমতে পারে।

উষ্ণ সেঁক (৪৮ ঘণ্টা পর): দুই দিন পর থেকে গরম জলের ব্যাগ বা হিটিং প্যাড ব্যবহার করুন। উষ্ণ সেঁক পেশিগুলিকে শিথিল করে এবং রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে সাহায্য করে, যা ব্যথা কমাতে কার্যকর। প্রতি বার ১৫-২০ মিনিটের জন্য সেঁক দিন।

২. সঠিক ভঙ্গিমায় বিশ্রাম

বিশ্রাম জরুরি: ব্যথা কমাতে কিছু দিনের জন্য ভারী কাজ এবং অতিরিক্ত হাঁটা এড়িয়ে চলুন।

শোয়ার ভঙ্গি: চিৎ হয়ে শোয়ার সময় হাঁটুর নিচে একটি বালিশ দিন। এতে মেরুদণ্ডের স্বাভাবিক কার্ভ বজায় থাকে এবং কোমরের পেশির উপর চাপ কমে। পাশ ফিরে শুলে দুই হাঁটুর মাঝে একটি বালিশ রাখুন।

৩. হালকা স্ট্রেচিং এবং যোগা

স্ট্রেচিং: সম্পূর্ণ বিশ্রামের পর হালকা স্ট্রেচিং শুরু করুন। এটি পেশির টান কমাতে সাহায্য করে।

হাঁটু বুকে আনা: চিত হয়ে শুয়ে একটি হাঁটু ভাঁজ করে ধীরে ধীরে বুকের কাছে টেনে আনুন। ১০-১৫ সেকেন্ড ধরে রেখে অন্য পায়ে একই প্রক্রিয়া অনুসরণ করুন।

ক্যাট-কাউ পোজ: এই স্ট্রেচটি মেরুদণ্ডকে নমনীয় করতে সাহায্য করে।

সতর্কতা: স্ট্রেচিংয়ের সময় যদি ব্যথা বাড়ে, তবে সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ করুন। জোর করে কোনও স্ট্রেচ করবেন না।

৪. বসার সঠিক অভ্যাস

কোমর সোজা রাখুন: দীর্ঘ সময় বসে থাকার অভ্যাস থাকলে পিঠ সোজা রেখে বসুন। প্রয়োজনে কোমরের ফাঁকা অংশে ছোট তোয়ালে বা কুশন ব্যবহার করে সাপোর্ট দিন।

অল্প বিরতি: এক টানা ৩০ মিনিটের বেশি বসে থাকবেন না। প্রতি আধ ঘণ্টা পর অন্তত ২ মিনিটের জন্য উঠে দাঁড়ান এবং হেঁটে আসুন। এতে পেশি জড়তা দূর হবে।

৫. ব্যথানাশক ওষুধ

ওষুধের ব্যবহার: প্যারাসিটামল বা নন-স্টেরয়েডাল অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ড্রাগস জাতীয় ওষুধ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করা যেতে পারে। এই ওষুধগুলি সাময়িক ব্যথা এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।

পরামর্শ আবশ্যক: কোনও ওষুধই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া দীর্ঘ কাল বা অতিরিক্ত পরিমাণে গ্রহণ করা উচিত নয়।

৬. সঠিক জুতো পরিধান

এখনও সতর্কতা: উৎসব শেষ হলেও, এই সময়ে হাই হিল বা ফ্ল্যাট স্যান্ডেল ব্যবহার করা এড়িয়ে চলুন।

প্রশস্ত জুতো: আরামদায়ক এবং গোড়ালিতে যথাযথ সাপোর্ট দেয়, এমন জুতো ব্যবহার করুন। যাতে হাঁটার সময় শরীরের ভার সঠিক ভাবে বণ্টিত হয় এবং কোমরের উপর অতিরিক্ত চাপ না পড়ে।

কখন চিকিৎসকের পরামর্শ জরুরি?

যদি ঘরোয়া উপায়ে দুই-এক দিনের মধ্যে ব্যথা না কমে, অথবা নীচের কোনও লক্ষণ দেখা যায়, তবে দেরি না করে অবশ্যই একজন অর্থোপেডিক বা ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন:

তীব্র ব্যথা: যদি ব্যথা অত্যন্ত তীব্র হয় এবং হাঁটা বা শোয়া অসম্ভব করে তোলে।

পায়ে ছড়িয়ে যাওয়া ব্যথা: যদি ব্যথা কোমর থেকে পা পর্যন্ত (বিশেষ করে হাঁটুর নিচ পর্যন্ত) ছড়িয়ে যায়, যা সায়াটিকার লক্ষণ হতে পারে।

অন্যান্য উপসর্গ: যদি ব্যথার সঙ্গে জ্বর, ওজন হ্রাস বা মূত্রত্যাগের সমস্যা দেখা যায়।

এই বিষয়গুলি মেনে চললেই আপনি ধীরে ধীরে ব্যথা থেকে মুক্তি পাবেন।

‘আনন্দ উৎসব ২০২৫’-এর সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছেন একাধিক সহযোগী। প্রেজ়েন্টিং পার্টনার ‘মারুতি সুজ়ুকি অ্যারেনা’। অন্যান্য সহযোগীরা হলেন ওয়েডিং পার্টনার ‘এবিপি ওয়ানস্টপ ওয়েডিং’, ফ্যাশন পার্টনার ‘কসমো বাজ়ার’, নলেজ পার্টনার ‘টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি’, ব্যাঙ্কিং পার্টনার ‘ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া’, কমফোর্ট পার্টনার ‘কার্লন’।

এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement