পুজোর দিনে গাড়ি নিয়ে বেরোনো — কতটা সুবিধাজনক? পুজোর সময় গাড়ি নিয়ে বেরোনোর সিদ্ধান্ত অনেকের কাছেই স্বস্তিদায়ক মনে হয়। তবে ভিড়, পার্কিং এবং যানজটের সমস্যাগুলিও মাথায় রাখা প্রয়োজন। সঠিক পরিকল্পনা থাকলে এই সমস্যাগুলি সামলেই পুজোর আনন্দ উপভোগ করা সম্ভব।
সময় বুঝে বেরোনোর পরিকল্পনা: পুজোর ভিড় মূলত বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত থাকে। যদি সম্ভব হয়, তা হলে সকালের দিকে ঠাকুর দেখতে বেরোন। এতে রাস্তা কিছুটা ফাঁকা পাবেন এবং পার্কিংয়ের জায়গা খুঁজে পেতে সুবিধা হবে।
রুট ম্যাপ আগে থেকে ঠিক করে নিন: কোন কোন প্যান্ডেলে ঠাকুর দেখবেন, তার একটি রুট ম্যাপ আগে থেকে তৈরি করে নিন। গুগল ম্যাপ বা অন্য কোনও নেভিগেশন অ্যাপ ব্যবহার করে দেখতে পারেন কোন রাস্তায় যানজট বেশি। বিকল্প রাস্তাগুলিও জেনে রাখা ভালো।
পার্কিংয়ের জায়গা আগে থেকে জেনে রাখুন: বড় বড় প্যান্ডেলের আশেপাশে অনেক সময় নির্দিষ্ট পার্কিংয়ের ব্যবস্থা থাকে। ঠাকুর দেখতে যাওয়ার আগে অনলাইনে বা স্থানীয়ভাবে সেই পার্কিংয়ের তথ্য সংগ্রহ করে নিন। এতে পার্কিং নিয়ে অযথা সময় নষ্ট হবে না।
নির্দিষ্ট পার্কিং লট ব্যবহার করুন: রাস্তার ধারে গাড়ি পার্কিং করা ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। এতে এক দিকে যেমন ট্রাফিক জ্যাম হতে পারে, তেমনি গাড়ির ক্ষতি হওয়ারও আশঙ্কা থাকে। তাই সর্বদা নির্দিষ্ট পার্কিং লট বা স্থানে গাড়ি পার্ক করুন।
জরুরি কাগজপত্র সঙ্গে রাখুন: গাড়ি চালানোর সময় অবশ্যই ড্রাইভিং লাইসেন্স, গাড়ির রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট, ইনস্যুরেন্স এবং পলিউশন সার্টিফিকেট সঙ্গে রাখুন। ট্র্যাফিকের নিয়ম মেনে চলুন।
মদ্যপান করে গাড়ি চালানো থেকে বিরত থাকুন: পুজোর সময় আনন্দ করতে গিয়ে অনেকেই মদ্যপান করে গাড়ি চালান। এটি খুবই বিপজ্জনক এবং আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। এমনটা মোটেও করবেন না। নিজে নিরাপদ থাকুন এবং অন্যদেরও বিপন্মুক্ত রাখুন।
গাড়ির চাকা ও তেল পরীক্ষা করে নিন: বেরোনোর আগে গাড়ির তেল, চাকা এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি একবার দেখে নিন। কোনও সমস্যা হলে সঙ্গে সঙ্গে তা সারিয়ে নিন। মাঝরাস্তায় গাড়ি খারাপ হলে তা বড় সমস্যার কারণ হতে পারে।
সঙ্গে জরুরি জিনিসপত্র রাখুন: গাড়িতে ফার্স্ট এইড কিট, টর্চ লাইট এবং গাড়ির টুল কিট রাখুন। কোনও জরুরি পরিস্থিতিতে এগুলি কাজে আসতে পারে।
শান্ত থাকুন, ধৈর্য ধরুন: পুজোর সময় রাস্তায় যানজট একটি সাধারণ ব্যাপার। এই ধরনের পরিস্থিতিতে মাথা ঠান্ডা রাখা খুব জরুরি। হর্ন বাজানো বা অন্য চালকদের সঙ্গে তর্কে জড়াবেন না। ধৈর্য্য ধরে অপেক্ষা করুন এবং নিরাপদ ড্রাইভিং করুন। (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ)।