এক দিকে যেমন এটি ‘আলোর উৎসব’, তেমনই জৌলুসের আড়ালে লুকিয়ে এক অন্ধকার দিকও।
কালীপুজোর রাতে এক ধাক্কায় দূষণের মাত্রা বেড়ে যাওয়া, নবজাতক থেকে বৃদ্ধ-বৃদ্ধা, এমনকী পশুরাও নিরাপদ বোধ করে না বললেই চলে।
শব্দদূষণের পাশাপাশি বায়ুদূষণের কারণে ফুসফুস, শ্বাসনালীর ক্ষতি তো আছেই। বাজির ধোঁয়ায় মারাত্মক ক্ষতি হয় ত্বকেরও।
বাজি থেকে নির্গত হওয়া ইনফ্রারেড ও ইউভি (আল্ট্রাভায়োলেট) রশ্মির প্রকোপে ঝলসে যায় ত্বক। প্রাথমিক ভাবে তা টের না পেলেও পরে বোঝা যায় ক্ষতির পরিমাণ।
এই সব কিছু মাথায় রেখেই বাজি পোড়ানোর আগে যত্ন নিন ত্বকের। খেয়াল রাখুন কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে।
প্রথম জরুরি বিষয়টি হল সানস্ক্রিন ব্যবহার। দিনের বেলায় রোদের হাত থেকে বাঁচতে যেমন মুখে মাখা হয়, কালীপুজোর রাতেও সঙ্গী করুন তাকে। এটি ইউভি রশ্মি থেকে একই ভাবে ত্বককে রক্ষা করবে।
সামনেই তো শীতকাল। ময়শ্চারাইজ়ার ব্যবহারের অভ্যেস এখন থেকেই করা উচিত। বাজি পোড়ানোর সময়ে ভারী কোনও ময়শ্চারাইজ়ার ব্যবহার করুন। এটি ত্বকের উপরে রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করবে।
বাজি পোড়ানোর সময়ে মুখ রুমাল বা মাস্ক দিয়ে ঢেকে রাখতে পারেন। এতে যেমন ফুসফুস ও শ্বাসনালীর ক্ষতি আটকানো যাবে, তেমনই মুখের ত্বককেও বাঁচানো যাবে সরাসরি দূষণ থেকে।
সব কিছুর পরে মাইল্ড কোনও ক্লেনজ়ার দিয়ে ভাল করে ধুয়ে নিন মুখ। এতে ত্বকের আর্দ্রতা নষ্ট হবে না।
পাশাপাশি ত্বক থেকে ধুলো-ময়লাও যাবে দূর হয়ে।
তা ছাড়া সমাধান লুকিয়ে বাঙালির হেঁশেলেই।
একটি পাত্রে দই, মধু ও আমলকির রস একসঙ্গে মিশিয়ে সেটি গলায়, মুখে ও হাতে ভাল করে মেখে নিন। ২০ মিনিট মতো রেখে ধুয়ে ফেলুন।
তুলসীপাতা ভেজানো জলও এ ক্ষেত্রে খুব উপকারী। ত্বকের ‘টক্সিন’ দূর করতে সাহায্য করে।
এ ছাড়া স্ক্রাবিং করুন ঘুমোতে যাওয়ার আগে। বাড়িতেই বানিয়ে নিতে পারবেন সহজে। এর জন্য লাগবে কয়েকটি পিষে নেওয়া আখরোট ও এক চামচ মধুর মিশ্রণ।
এ ছাড়াও সপ্তাহে বেশ কয়েক বার ফেসপ্যাক ব্যবহার করতে পারেন। ত্বকের ধরন বুঝে বাছাই করতে পারেন এটি। চাইলে বাড়িতেও বানাতে পারেন গোলাপজল, মুলতানি মাটি, টকদই, মধু ইত্যাদি দিয়ে। (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ)।