রাত পোহালেই কালীপুজো। তবে উদ্যাপন শুরু এখন থেকেই। যে দিকেই চোখ যায়, সেখানেই সারি দিয়ে সাজানো রয়েছে তুবড়ি থেকে ফুলঝুরির সম্ভার। সন্ধে নামতেই লাল, সবুজ, হলুদ রঙের খেলা শুরু।
কিন্তু উৎসবের আলো আর রং মুহূর্তে মুছে যেতে পারে সামান্য অসাবধানতায়। বাজি ফাটান। তবে নিয়ম ও সতর্কতা মেনেই।
দুর্ঘটনা তো কাউকে কিছু বলে আসে না। যদি কোনও অঘটন ঘটে, তা হলে প্রাথমিক চিকিৎসাটুকুর যাতে ব্যবস্থা করা যায়, সেই বিষয়ে জেনে নিন আগেভাগেই।
অনেক ক্ষেত্রে বাজি পোড়ানোর সময়ে আগুনের ফুলকি ছিটকে এসে পড়ে হাতে বা পায়ে। অথবা হাতে থাকাকালীনই হঠাৎ ফেটে গিয়ে বিপদ ঘটায় বাজি।
এমন সময়ে চিন্তা না করে, সবার আগে পোড়া অংশে ঠান্ডা বরফ জল দিন। তবে অত্যাধিক পুড়ে গেলে বাড়িতে রেখে চিকিৎসা না করাই শ্রেয়। কাছাকাছি কোনও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান সত্বর।
কেবলমাত্র চামড়ার উপরের অংশ পুড়ে গেলে বরফজল দিয়েই পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব। কিন্তু ভিতরে মাংসল অংশ ঝলসে গেলে হাসপাতাল ছাড়া উপায় নেই।
চোখের ক্ষেত্রেও একই সাবধানতা জরুরি। বাজি পোড়াতে গিয়ে আগুনের ঝলকানি অথবা জ্বলন্ত বাজির অংশ চোখে লেগে অঘটন ঘটার উদহরণ নতুন নয়।
এ ক্ষেত্রে কখনওই চোখ ঘষা বা রগড়ানো যাবে না। বারে বারে ঠান্ডা জলের ঝাপটা দিতে থাকুন, যত ক্ষণ না পর্যন্ত জ্বালা কমে।
বাড়িতে মোমবাতি বা প্রদীপ থেকেও আগুন ধরে যাওয়ার আশঙ্কাকে এড়িয়ে যাওয়া যায় না। যদি এমনটা হয়েও থাকে, তা হলে প্রথমেই বিচলিত হবেন না। মনে রাখবেন, যত সময় খরচ হবে, আগুন ও তার প্রভাব তত গড়াবে।
প্রথমেই জল দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করুন। জল হাতের সামনে আর না পেলে ভারী কম্বল বা ভারী কাপড় জড়িয়ে নেভান।
যদি হাতে ফোস্কা পড়ে, তা হলে সেটিকে ফাটিয়ে দেবেন না কোনও ভাবেই। এটি ক্ষত স্থানের উপরে একটি আস্তরণের কাজ করে। এটিকে ফাটিয়ে দিলে আরও ক্ষতি।
কোনও জায়গার সঙ্গে যেন ধাক্কা না লাগে, সেই দিকে নজর রাখা প্রয়োজন।
প্রাথমিক ভাবে পোড়া জায়গায় পেট্রোলিয়াম জেলি লাগিয়ে নিতে পারেন।
বাইরের ধুলো-ময়লার হাত থেকে ক্ষতস্থান বাঁচাতে হলে এক প্রকার গজ পাওয়া যায়, সেটি দিয়ে জড়িয়ে রাখতে পারেন সেটিকে। ( এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ)।