দুর্গাপুজোর দিন গুনছে শহর। নতুন জামা, গয়না, সুগন্ধি সবই তৈরি। কিন্তু আয়নায় চোখ পড়তেই মন খারাপ, চোখের নীচে জমাট বাঁধা কালি যেন ম্লান করে দিচ্ছে সাজের রং।
এই দুশ্চিন্তারও কিন্তু ঘরোয়া সমাধান আছে, যা বছরের পর বছর বাংলার ঘরে ঘরেই চলে আসছে।
চোখের নীচের কালি দূর করতে প্রথমেই আসে শসার নাম। ফ্রিজে রাখা ঠান্ডা শসার টুকরো দিনে ১০–১৫ মিনিট চোখে রাখলেই তরতাজা দেখায়, কালি অনেকটাই হালকা হয়।
একই ভাবে আলু বা টোম্যাটোর টুকরোও ব্যবহার করা যায়। ভিটামিন সি আর অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট চোখের ফোলা ভাব কমিয়ে দেয়।
চায়ের ব্যাগও কম যায় না। পুজোর কেনাকাটার পরে একটু জিরিয়ে নিতে একটা ঠান্ডা টি ব্যাগ চোখের উপরে বসিয়ে রাখুন। চায়ের অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট উপাদান চোখের ক্লান্তি দূর করবে আর কালচে ভাব কমিয়ে আনবে।
বাদাম তেল আর নারকেল তেলও বহু দিনের পরীক্ষিত উপায়। ভিটামিন ই-সমৃদ্ধ তেল রাতে ঘুমোনোর আগে হালকা হাতে ম্যাসাজ করলে ধীরে ধীরে কালি হালকা হয়। কেউ কেউ তাতে কাঁচা হলুদ মিশিয়ে ব্যবহার করেন।
প্যাকের দুনিয়াতেও রয়েছে নানা টিপ্স। দই, মধু আর গোলাপজল মিশিয়ে তৈরি ফেসপ্যাক দিনে দু’বার ব্যবহার করলে চোখের তলায় কালি কমে। চাইলে গাজরের রসও লাগাতে পারেন।
তবে সব কিছুই প্রথম বার ব্যবহারের আগে প্যাচ টেস্ট জরুরি।
শুধু ঘরোয়া টিপ্স নয়, পাশাপাশি নিয়মিত ৭–৮ ঘণ্টা ঘুম, পর্যাপ্ত জলপান আর সানস্ক্রিন ব্যবহারও সমান ভাবে জরুরি। শরীর সুস্থ থাকলে পুজোর আলোয় ঝলমল করবেন আপনিও।
উৎসবের দিনগুলোয় ভোর থেকে রাত পর্যন্ত দৌড়ঝাঁপ চলবেই। তবে চোখের কালি যাতে সাজে বাধা না হয়ে দাঁড়ায়, তার জন্য এই টিপ্সই ভরসা। মুখে ময়শ্চারাইজার বা অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করলে ত্বকও পাবে বাড়তি যত্ন। (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ)।