রাতভর ঠাকুর দেখা, প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে ছোটা, জমিয়ে আড্ডা আর শেষ পাতে এলাহি ভোজ— সপ্তাহ দুয়েকের এই নিরবচ্ছিন্ন আনন্দের পরে শরীর এখন ক্লান্ত। উৎসবের ব্যস্ততায় ধুলো, ধোঁয়া আর অনিয়মের ছাপ পড়েছে ত্বকেও।
শীতের আগমনী বার্তায় ত্বক এমনিতেই একটু রুক্ষ হতে শুরু করে। তার উপরে এই ধকল। ত্বক যেন কেমন নিস্তেজ, প্রাণহীন আর ম্যাড়ম্যাড়ে দেখাচ্ছে।
রূপটানের আস্তরণ সরিয়ে আয়নায় নিজেকে দেখতে গেলে মন খারাপ হওয়া স্বাভাবিক। মৃত কোষের বোঝা নামিয়ে, রোমকূপের মুখ পরিষ্কার করে ত্বকের সেই পুরনো জেল্লা ফিরিয়ে আনুন এই স্ক্রাবের সাহায্যে।
বাজারচলতি চটজলদি সমাধানের দিকে না তাকিয়ে, রান্নাঘরের সহজ সরল উপাদানেই কিন্তু লুকিয়ে রয়েছে আসল জাদু। নিয়মিত স্ক্রাবিংয়ের জন্য রাসায়নিক মিশ্রিত দ্রব্যের বদলে ভরসা রাখতে হবে প্রকৃতির উপরে।
ওটস এমন এক প্রাকৃতিক উপাদান, যা মৃত কোষের পরত সরিয়ে ত্বককে দেয় নতুন প্রাণ। এটি কেবল ত্বককে পরিষ্কার, নরম আর উজ্জ্বল রাখে তাই নয়, দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতির আশঙ্কাও থাকে না।
তা হলে আর দেরি কেন? ত্বকের আর্দ্রতা ও কোমলতা ধরে রাখতে মধু আর টক দইয়ের সঙ্গে মোটা করে গুঁড়ো করা ওটস মিশিয়ে তৈরি করুন একটি ঘন পেস্ট।
খেয়াল রাখতে হবে যেন ওটস একেবারে মিহি না হয়ে যায়। সামান্য যেন দানাদার ভাব থাকে।
তৈলাক্ত ত্বকের ক্ষেত্রে চাইলে কিছুটা পাতিলেবুর রস যোগ করা যেতে পারে, যা তেল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে।
পরিষ্কার মুখে এই মিশ্রণটি লাগিয়ে আঙুলের ডগায় ২-৩ মিনিট আলতো হাতে বৃত্তাকারে মালিশ করা দরকার। এর ফলে ত্বকের মরা কোষ আর ময়লা দূর হয়। ত্বক হয় মসৃণ ও পরিচ্ছন্ন।
এর পুষ্টিগুণ ত্বকে শোষিত হওয়ার জন্য ১০ মিনিটের মতো অপেক্ষা করার পরে হালকা গরম জলে মুখ ধুয়ে নেওয়া উচিত।
সপ্তাহে দু'বার এই সাধারণ নিয়মটি মেনে চললেই কয়েক দিনের মধ্যে পার্থক্য নজরে আসবে।
এই ওটমিল স্ক্রাবটি ঘরে বসেই পার্লারের মতো উজ্জ্বলতা পাওয়ার একটি সহজ রাস্তা। এর সবচেয়ে বড় সুবিধে, এতে কোনও ক্ষতিকারক রাসায়নিক নেই। ত্বকের জেল্লা ফেরানোর পাশাপাশি, ওটস কিন্তু শরীরের জন্যও সমান উপকারী। (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ)।