সংগৃহীত চিত্র
দেখতে দেখতে পুজো প্রায় এসেই গেল! এই যে একটা নতুন জামার গন্ধ, শিউলি ফুলের সুবাস, ঝলমলে আলো, উৎসবের আমেজ... ভাবলেই মনটা কেমন আনন্দে ভরে ওঠে, তাই না? আর এত সব উদ্দীপনার মাঝে শান্তির প্রলেপ দেয় কোন জায়গাটা, বলুন তো? ঘরের সেই ছোট্ট কোণটুকু, যেখানে আরাধ্য দেবতার বাস। এ জায়গাটাই যে সমস্ত সুখ-দুঃখের সঙ্গী। পুজোর আগে যদি সেই সাধের ঠাকুরঘরকেও সাজিয়ে তোলা যায় নতুন সাজে, দেওয়া যায় নতুন রঙের ছোঁয়া, তবে তার প্রভাব যেন ছড়িয়ে পড়ে পুরো বাড়ি জুড়েই।
ঠাকুরঘরের রঙ বাছাইয়ের ক্ষেত্রে প্রথমেই মনে রাখা জরুরি— রঙ খুব গাঢ় শেডের যেন না হয়। কারণ গাঢ় রঙ অনেক সময়ে ঘরে এক ধরনের ভারী বা নেতিবাচক আবহ তৈরি করে। ঠাকুরঘরে কালো রং তাই একেবারে এড়িয়ে চলাই ভাল।
প্রশান্তির খোঁজে এ ঘরের জন্য বেছে নিন সাদা আর হলুদের মিলমিশ। সাদা পবিত্রতার প্রতীক, হলুদও আধ্যাত্মিকতার ছোঁয়া আনে। একসঙ্গে এই দুই রং ঠাকুরঘরকে দেয় এক উজ্জ্বল, শান্ত পরিবেশ।
আবার বেইজ-বাদামি জুটি এনে দেয় মাটির কাছাকাছি থাকা স্নিগ্ধতার অনুভূতি—যা দীর্ঘ ক্ষণ প্রার্থনার সময়ে মনকে স্থির রাখে।
উৎসবের আমেজ এনে দিতে হালকা কমলা অসাধারণ কাজ করবে। খুব উজ্জ্বলের বদলে বরং এমন এক শেড বেছে নিন, যা সিংহাসনের দেওয়ালকে আলাদা করে তুলে ধরে।
ঠাকুরঘরে যাঁরা চান রাজকীয় ছোঁয়া, তাঁদের জন্য লাল-সোনালির রং-মিলন্তি একদম মানানসই। লাল শক্তি ও ভক্তির প্রতীক, সোনালি সমৃদ্ধি আর বিলাসিতার।
অন্য দিকে নীল-সাদা যুগলবন্দি এনে দেয় নির্মলতা আর প্রশান্তির আবহ—যা ঠাকুরঘরে পা রাখলেই মন ভরে দেয়।
পাশাপাশি, আরও একটা সুন্দর বিকল্প হতে পারে সবুজ ও সোনালি রঙের মিশেল। সবুজ নতুন সূচনা, উন্নতি আর শান্তির প্রতীক; সোনালি সমৃদ্ধি ও ঐশ্বর্যের বার্তা দেয়। এই দুই রং একসঙ্গে ঠাকুরঘরকে দেয় প্রাণবন্ত অথচ মার্জিত এক আভা—যেখানে প্রার্থনার সময়ে মন জুড়ে ছড়িয়ে যায় এক সতেজ অনুভূতি। হালকা সবুজ দেওয়ালে যদি সোনালি বর্ডার বা সজ্জা যোগ করা যায়, তবে ঠাকুরঘরের শোভা যেন দ্বিগুণ বেড়ে যায়।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।