১। বাড়িতে অ্যাকোয়ারিয়াম রাখার চল নতুন নয়। বাঙালি সংসারে মাছ মানেই ভোজন নয় শুধু, ঘর সাজাতেও এর প্রতি আলাদা টান আছে। বিশেষত দুর্গাপুজোর সময়ে শোভা আর ইতিবাচক শক্তি বৃদ্ধির লক্ষ্যে অনেকেই ঘরে অ্যাকোয়ারিয়াম রাখেন।
২। বাস্তু মতে অ্যাকোয়ারিয়াম মানে ঘরে শান্তি ও সমৃদ্ধির প্রতীক। জলের মধ্যে নড়াচড়া করা মাছ সংসারে একরাশ ইতিবাচক শক্তি বয়ে আনে।
৩। অ্যাকোয়ারিয়াম রাখার সেরা দিক হল ঘরের উত্তর বা পূর্ব কোণ। এই দিকগুলিতেই থাকে আর্থিক উন্নতির সম্ভাবনা।
৪। বসার ঘরের উত্তর-পূর্ব কোণ সবচেয়ে শুভ। অতিথি এলেই নজর যাবে সেখানে, আর জীবন্ত মাছেরা সংসারে এনে দেবে প্রাণবন্ত ছোঁয়া।
৫। শোওয়ার ঘর বা রান্নাঘরে কখনও অ্যাকোয়ারিয়াম রাখা উচিত নয়। শোওয়ার ঘরে রাখলে ঘুমের ব্যাঘাত হতে পারে। রান্নাঘরে রাখলে সংসারের সম্প্রীতি কমে বলে বাস্তু শাস্ত্রের বিশ্বাস।
৬। বাঙালি বাড়িতে পুজোর দিন নতুন জিনিস আনার রেওয়াজ আছে। সেই সময়ে অ্যাকোয়ারিয়াম আনলে শুভ হয় বলেই মনে করেন অনেকে।
৭। বাড়ির দক্ষিণ দিক অ্যাকোয়ারিয়ামের জন্য একেবারেই নয়। এতে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে অশান্তি বাড়তে পারে।
৮। জলের পরিচ্ছন্নতা অত্যন্ত জরুরি। ময়লা বা ঘোলা জল সংসারে নেতিবাচক প্রভাব আনে বলে বাস্তু বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ।
৯। অ্যাকোয়ারিয়ামে সক্রিয় মাছ রাখা দরকার। মৃত বা অসুস্থ মাছ কখনও দীর্ঘদিন রাখা উচিত নয়।
১০। পুজোর আলো আর ধূপের ঘ্রাণের মধ্যে যখন মাছেদের সাঁতার কাটতে দেখা যায়, তখন ঘরের পরিবেশে এক অন্য রকম প্রশান্তি তৈরি হয়।
১১। অ্যাকোয়ারিয়ামের চার পাশে সব সময়ে উজ্জ্বল আলো থাকা উচিত। ঘর অন্ধকার হলে এর ইতিবাচক প্রভাব কমে যায়।
১২। শারদীয়ার দিনগুলোতে অ্যাকোয়ারিয়াম শুধু ঘরসজ্জার অঙ্গ নয়, সংসারে মঙ্গল আবাহনের এক অদৃশ্য সঙ্গী হয়ে ওঠে। মাছেদের অনবরত ভেসে বেড়ানো যেন মনে করিয়ে দেয়— জীবনের গতি কখনও থেমে থাকে না। (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ)।