পুজো মানেই আনন্দ, পুজো মানেই নতুন করে উদ্যাপন। এই সময়ে সাজগোজ, ঘোরাফেরা তো আছেই, তবে তার একটা বড় অংশ জুড়ে থাকে পেটপুজো। বন্ধু বা আত্মীয়ের বাড়ি যাওয়া-আসা, সেখানে ভূরিভোজ, অথবা নিজের বাড়িতে অতিথি আপ্যায়ন, সবকিছুর কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে রান্নাঘর। পাশাপাশি পুজো মনে কাছের মানুষের উপহারে ভরিয়ে দেওয়াও বটে। আজকাল অনেকেই ভাবছেন একটু আলাদা ভাবে উপহার দেওয়া যায় কি না। রান্নাঘরের গ্যাজেটই হয়ে উঠছে সেই চমক—যা ব্যবহারও হবে, আবার উৎসবের আনন্দেও রঙ মেলাবে। তাই আপনাদের জন্য রইল বেশ কিছু আকর্ষণীও উপহারযোগ্য ‘কিচেন গ্যাজেটস’-এর সম্ভার।
এয়ার ফ্রায়ার – ভাজাভুজি পুজোর ভোজে কম নয়। কিন্তু এখন স্বাস্থ্য সচেতনতার যুগ। তাই তেল ছাড়া খাস্তা স্ন্যাকস বানাতে এয়ার ফ্রায়ারই হতে পারে আদর্শ উপহার।
ইলেকট্রিক কেটলি – বাড়িতে অতিথি এলে চা কফি বানানো নিয়ে যে হিমশিম খেতে হয়, কেটলি মিটিয়ে দেয় সেই ঝামেলা। পুজোর দিনভর আড্ডার সঙ্গী।
হ্যান্ড ব্লেন্ডার – ঝটপট লস্যি, চাটনি বা সুপ তৈরির সময় বাঁচায়। ঠাকুর দেখতে যাওয়ার আগে মুহূর্তে হয়ে যায় প্রস্তুতি।
কফি মেকার – বন্ধুবান্ধবদের রাতভর আড্ডা জমে ওঠে পুজোর ক’দিন। সেখানে কফির গন্ধ বাড়ির আবহ বদলে দেয়।
ফুড প্রসেসর – কচুপাতার ডোলমা থেকে শুরু করে আলুর চপ—ঝটপট কাটাকুটি, বাটা-পেষণ সবই সেরে ফেলে।
ইলেকট্রিক রাইস কুকার – পুজোর খিচুড়ি হোক বা পোলাও, নিখুঁত রান্নার জন্য ঝামেলাহীন সঙ্গী।
টোস্টার ও স্যান্ডউইচ মেকার – সকালের নাশতায় খাস্তা টোস্ট বা চিজি স্যান্ডউইচ—পুজোর সকালকে করে আরও মজাদার।
আইসক্রিম মেকার – ভোগের মিষ্টির ভিড়েও ঘরে বানানো আইসক্রিমের আলাদা আবেদন থাকে।
জুসার – পুজোর ক’দিন টানা ঘুরে বেড়ানোতে ক্লান্তি কাটাতে ঠান্ডা জুসের গ্লাস চাই-ই চাই।
ইনডাকশন কুকটপ – ছোটখাটো রান্না মুহূর্তে সেরে ফেলার সহজ উপায়। ভোগ রান্নায়ও কাজে আসে। (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।)