Durga Dashami

বিজয়া দশমীতে বরণডালায় কী কী থাকবেই, কী নিয়ম মেনে দেবীকে জানাবেন বিদায়

পুজো কি ফুরোয়? না, সে শুধু বছর শেষের অপেক্ষায় দিন গোনে। জেনে নিন দেবীকে বিদায় জানানোর আগে বরণ-সিঁদুরখেলার রীতিনীতি।

Advertisement

আনন্দ উৎসব ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০২৫ ২০:১৩
Share:

প্রতীকী চিত্র

শারদোৎসবের দিনগুলি চোখের পলকে কেটে যায়। ষষ্ঠী থেকে মহাষ্টমী—আনন্দে, ভিড়ে, ঢাকের তালে—মুহূর্তেই যেন এসে হাজির হয় বিদায়ের সুর। রাত পোহালেই বিজয়া দশমী। দুর্গাপুজোর অবসান এই দিনে। তবে শেষ দিনে আবেগের সঙ্গে জড়িয়ে থাকে একাধিক রীতি, যার মধ্যে অন্যতম দেবী দুর্গার বরণ।

Advertisement

এই তিথিতেই হয় দশভুজা ও তাঁর সন্তানসন্ততিদের বরণপর্ব। দেবীকে কাছে পাওয়ার এই শেষ সুযোগে ভক্তের মনে তাই আবেগ উপচে পড়ে। যেন ঘরের মেয়ে ফিরে যাচ্ছে শ্বশুরবাড়ি, তাই যত্ন করে বিদায় জানাতে হয়। বছরের পর বছর ধরে বাঙালি পরিবারে চলে আসা এই প্রথাটিই যেন নতুন করে বেঁধে দেয় বন্ধনের সুতো।

সংসারের মঙ্গল কামনায় দেবীকে বরণ করার কিছু নিয়ম রয়েছে। স্নান সেরে শুদ্ধবসনে, হাতে আলতা-সিঁদুর পরেই শুরু হয় বরণপর্ব। আগে থেকে গুছিয়ে নিতে হয় বরণডালা। তার মধ্যে কী কী থাকা চাই? নিয়ম মেনে সিঁদুর, পান, সুপুরি, পানের খিলি, মিষ্টি, ষোল আনা বা একটি ১ টাকার মুদ্রা আর জল রাখা আবশ্যিক। অনেকে আবার ভিড় সামলে সতর্ক হয়ে ধূপকাঠি ও প্রদীপও রাখেন। তবে খেয়াল রাখতে হবে, পোশাক বা চুলের অংশ যেন কোনও মতেই বিগ্রহে ঝাপটা না দেয়।

Advertisement

বরণের শুরুতে প্রথমে দশভুজার সিঁথি আর বাঁ হাতের শাঁখায় সিঁদুর দেওয়া হয়। এর পর পরিষ্কার দু’টি পানপাতা দিয়ে মা দুর্গার মুখ আলতো করে মুছিয়ে দেওয়ার রেওয়াজ। এ যেন চোখে জল নিয়েও মায়ের মুখ থেকে মুছে নেওয়া হচ্ছে সব ক্লান্তি। এর পর মাতৃজ্ঞানে দেবীর পায়ে ধান-দূর্বা দিয়ে প্রণাম। কন্যাজ্ঞানে চাইলে মাথায়ও ধান-দূর্বা দিতে পারেন।

এ বার শুরু হয় মিষ্টিমুখ ও জলপান করানোর পালা। আগে থেকে বানানো পানের খিলি যেন মায়ের হাতে তুলে দেওয়া চাই। শুধু মা দুর্গাই নন, এর পর একই নিয়মে একে একে বরণ করতে হয় বাকি দেবদেবী এবং তাঁদের বাহনদেরও। এই পর্ব মিটলেই শুরু হয় সেই বহু প্রতীক্ষিত সিঁদুরখেলার পর্ব। লাল রঙে রাঙিয়ে ওঠে আনন্দ ও আবেগের ছবি। তবে নিয়ম বলছে—তিন দিন পর বরণডালার পান জলে ভাসিয়ে দিতে হবে এবং ডালা ধুয়ে রাখতে হবে।

‘আনন্দ উৎসব ২০২৫’-এর সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছেন একাধিক সহযোগী। প্রেজ়েন্টিং পার্টনার ‘মারুতি সুজ়ুকি অ্যারেনা’। অন্যান্য সহযোগীরা হলেন ওয়েডিং পার্টনার ‘এবিপি ওয়ানস্টপ ওয়েডিং’, ফ্যাশন পার্টনার ‘কসমো বাজ়ার’, নলেজ পার্টনার ‘টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি’, ব্যাঙ্কিং পার্টনার ‘ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া’, কমফোর্ট পার্টনার ‘কার্লন’।

এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement