প্রতীকী চিত্র।
দূর দূরান্ত থেকে ছুটে আসেন দর্শনার্থীরা। কেউ দণ্ডি কাটেন, তো কেউ দেন বুক চিরে রক্ত। বেল পাতায় বুকের রক্ত লাগিয়ে এনে তাঁরা আবদার করেন, দেবীর পায়ে ছুঁইয়ে দেওয়ার জন্য। না, বৃথা যায় না এই বলিদান। বলা হয়, ভক্তদের কখনই নাকি ফিরিয়ে দেন না তিনি। এমনটাই হলেন চন্দননগরের পরম পূজনীয় বুড়ি মা। হুগলির ভদ্রেশ্বরের তেঁতুলতলা বারোয়ারির এই জগদ্ধাত্রী প্রতিমাই পরিচিত ‘বুড়ি মা’ হিসেবে।
এই বছর ২৩৩তম বর্ষে পদার্পণ করল এই পুজো। সদ্যই হয়েছে দেবীর চক্ষুদান। শতাব্দী পেরিয়ে কতই না রীতিনীতি ঘিরে রয়েছে এই পুজোকে। এই যেমন, দশমীর দিন প্রতিমা নিরঞ্জনের আগে মহিলাদের শাড়ি পরে পুরুষদের দ্বারা দেবীবরণের প্রথা। আরও একটি বহুল আলোচিত রীতি হল, ভক্তদের বুক চিরে রক্ত দেওয়া।
‘বুড়ি মা’ রূপে দেবী জগদ্ধাত্রীর কথা শুনলে অনেকের মনেই কৃষ্ণনগরের বিখ্যাত ‘বুড়ি মা’-এর মুখই ভেসে ওঠে। কিন্তু ভদ্রেশ্বরের তেঁতুলতলার এই জগদ্ধাত্রীও কিন্তু কম জাগ্রত নন। কথিত, দেবীর কাছে নিজের মনের ইচ্ছে প্রকাশ করে বনগাঁ, ঝাড়গ্রাম থেকেও ছুটে আসেন ভক্তরা। মনস্কামনা পূর্ণ হলে, তাঁরাই আবার ফিরে আসেন চোখে জল নিয়ে। কিন্তু জানেন কি, এই রক্ত দেওয়া এবং মানত করার প্রথা কিন্তু প্রচলিত ছিল না কোনও দিনই। বরং এই রীতি নিয়ে এনেছেন খোদ সাধারণ পথচলতি মানুষেরাই।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।