প্রতীকী চিত্র
বাতাসে শিউলি ফুলের গন্ধ, আর রেডিয়োতে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের চণ্ডীপাঠের সেই পরিচিত কণ্ঠ। মহালয়ার ভোর মানেই অন্য রকম একটা অনুভূতি। পিতৃপক্ষের অবসান ঘটিয়ে দেবীপক্ষের সূচনা। এই দিনটা সকলের কাছে শুধু একটা তিথি নয়, উৎসবের শুরু। তবে জ্যোতিষমতে, আনন্দঘন এই দিনেও কিছু নিয়ম মানা জরুরি, নইলে নেমে আসতে পারে অমঙ্গল।
১। প্রথমেই এড়িয়ে চলুন চুল, দাড়ি বা নখ কাটা। পুজোর আগে সৌন্দর্য চর্চার সাদ জাগতেই পারে। কিন্তু মহালয়ার দিনে এই কাজ করতে নেই। পুজোর আগে পার্লারে গিয়ে নিজের চেহারা বদলে ফেলার ইচ্ছে হয় সকলেরই। কিন্তু মহালয়ার দিনে কোনও ভাবেই চুল-দাড়ি-নখ কাটবেন না।
২। কাউকে ধার দেওয়ার বিষয়েও সাবধানতা জরুরি– বন্ধু হলেও নয়। এই দিনে কাউকে টাকা বা অন্য কোনও জিনিস ধার দেওয়া বা নেওয়াকে অশুভ বলে মনে করা হয়।
৩। এই দিন বাড়িতে কোনও মাঙ্গলিক কাজ করবেন না। পুজো, গৃহপ্রবেশ ইত্যাদি মাঙ্গলিক উৎসব এই দিনে না করাই ভাল বলে মনে করা হয়।
৪। মহালয়ার দিনে নতুন বাড়ি বা গাড়ি কেনার মতো বড় ধরনের কেনাকাটা এড়িয়ে যাওয়া উচিত। এই দিনটিকে সাধারণত পূর্বপুরুষদের তর্পণের জন্য উৎসর্গ করা হয়। তাই পার্থিব সুখের জন্য বড় বিনিয়োগ এই দিনে না করাই ভাল।
৫। এই দিনে যদি কোনও দরিদ্র ব্যক্তি বা অভাবী মানুষ আপনার বাড়িতে আসেন, তা হলে তাঁকে কিছু না দিয়ে ফেরাবেন না। সাধ্যমতো সাহায্য করুন বা কিছু খাবার দিন। এতে পূর্বপুরুষদের আশীর্বাদ পাওয়া যায় এবং মন তৃপ্তি পায়।
৬। এই দিনটি যেহেতু পূর্বপুরুষদের স্মরণ ও তর্পণের জন্য উৎসর্গীকৃত, তাই আমিষ খাবার সম্পূর্ণ ভাবে পরিহার করা উচিত। এই দিনে নিরামিষ আহার করলে শুদ্ধতা বজায় থাকে এবং মন শান্ত হয়।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।