Kalateshwari Kali Temple

পাক-ভূমে দেবী কালাটেশ্বরীর মন্দির, ধর্মীয় ভেদাভেদ বাতাসে উড়িয়েই বহাল পুজো!

এই মন্দিরের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে প্রায় দেড় হাজার বছরের পুরনো বিশ্বাস ও ইতিহাস!

Advertisement
আনন্দ উৎসব ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০২৫ ১১:৪২
Share:
০১ ১০

পাকিস্তানের একটি প্রাচীন ও জাগ্রত কালী মন্দির হিসাবে সুপরিচিত কালাটেশ্বরী মন্দির। পাকিস্তানের বালোচিস্তান প্রদেশের কালাট অঞ্চলে এই মন্দিরটি পাকিস্তানের অন্যতম প্রাচীন হিন্দু মন্দিরগুলির অন্যতম। এখানে দেবী কালীর রণচণ্ডী রূপের পুজো করা হয়।

০২ ১০

মন্দিরটি ১৫০০ বছরেরও বেশি পুরনো বলে মনে করা হয়। দেশভাগের বহু আগে থেকেই এই মন্দিরে পুজো হয়ে আসছে। পাকিস্তানের হিন্দু ঐতিহ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ এটি। এত বছর ধরে মন্দিরটি স্বমহিমায় বিরাজ করছে।

Advertisement
০৩ ১০

এই মন্দিরের দেবী কালাট কালীমাতা বা কালাটেশ্বরী কালী নামে পরিচিত। কালী এখানে জাগ্রত দেবী হিসেবে পূজিতা হন। দেবী এখানে শক্তির প্রতীক, যিনি অশুভের বিনাশ করেন। স্থানীয় ভক্তদের কাছে এটি এক পবিত্র তীর্থস্থান।

০৪ ১০

বালোচিস্তানের এই কালী মন্দিরটি ঐতিহাসিক দিক থেকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পাকিস্তান সৃষ্টি হওয়ার পরেও স্থানীয় হিন্দু ও মুসলিমদের সহযোগিতায় এটি টিকে আছে। এই মন্দির সাক্ষী, ধর্মীয় সম্প্রীতির বন্ধন কত গভীর হতে পারে। মন্দিরটিকে বহু বার ধ্বংস করার চেষ্টা করা হলেও তা সফল হয়নি বলে লোকমুখে শোনা যায়।

০৫ ১০

এই মন্দিরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হল, এখানে মুসলিম ভক্তরাও পুজো দিতে আসেন। তাঁরা দেবীকে শ্রদ্ধা জানান এবং নিজেদের মনোবাঞ্ছা পূরণের জন্য প্রার্থনা করেন। বালোচিস্তানের মুসলিম মহল্লায় এমন একটি কালী মন্দির থাকা এক বিরল দৃশ্য। এটি দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে ভালবাসার এক অনন্য উদাহরণ।

০৬ ১০

স্থানীয়দের মধ্যে এই মন্দির নিয়ে অনেক লোকবিশ্বাস প্রচলিত আছে। কথিত, এই দেবী অত্যন্ত জাগ্রত এবং ভক্তের ডাকে সাড়া দেন। কোনও কোনও অঞ্চলে একে সিন্ধুর কালকা দেবী মন্দিরের সঙ্গে যুক্ত করা হয়। সেই লোককাহিনি অনুসারে, দেবী কালী হিংলাজ মাতার দিকে যাওয়ার পথে এখানে আবির্ভূতা হন।

০৭ ১০

পাকিস্তানের বালোচিস্তানে আরও একটি বিখ্যাত শক্তিপীঠ আছে। সেটিই হিংলাজ মাতার মন্দির। কিছু কাহিনি অনুসারে, কালাটেশ্বরী মন্দির বা কালকা দেবী মন্দিরের সঙ্গে এই হিংলাজ মাতার মন্দিরের যোগসূত্র আছে। মন্দিরের নীচে গুহা বা সুড়ঙ্গ পথেই তারা যুক্ত বলে বিশ্বাস করা হয়। এই দুই মন্দিরই পাকিস্তানের বুকে শক্তি উপাসনার প্রাচীন কেন্দ্র।

০৮ ১০

মন্দিরের অলৌকিক ক্ষমতা নিয়ে বহু কাহিনি প্রচলিত। মৌলবাদীরা এই মন্দির বারবার ভাঙতে চেয়েছিল। কিন্তু কোনও এক দৈবশক্তির কারণে তাঁরা সফল হতে পারেননি। তাই দেবীর মাহাত্ম্যে বিশ্বাস করেন সব ধর্মের মানুষ।

০৯ ১০

মন্দিরটি খুব জাঁকজমকপূর্ণ না হলেও, ভক্তদের কাছে খুবই পবিত্র। মন্দির প্রাঙ্গণে নিয়মিত পুজো ও ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান হয়। পাকিস্তানের অন্য অনেক হিন্দু মন্দিরের তুলনায় এটি এখনও সক্রিয় রয়েছে। এটি স্থানীয় হিন্দুদের ধর্মীয় জীবনে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

১০ ১০

কালাটেশ্বরী মন্দির ধর্মীয় সম্প্রীতির এক বড় প্রতীক। এটি প্রমাণ করে, ভক্তির কাছে ধর্মীয় ভেদাভেদ গৌণ। হিন্দু ও মুসলিম ভক্তদের আগমন এই মন্দিরের বিশেষ পরিচিতি। বালোচিস্তানের এই কালী মন্দির তাই এক শান্তির বার্তা বহন করে। ( এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ)।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement