কলকাতার শতাব্দী প্রাচীন কালী মন্দিরগুলির মধ্যে অন্যতম হল - উত্তর কলকাতার শোভাবাজার এলাকার 'লাল মন্দির'।
আজও ব্যস্ত রাস্তার মাঝখানে স্বমহিমায় দাঁড়িয়ে রয়েছে মায়ের এই আরাধনা স্থলটি।
মন্দিরের ফলক অনুসারে - এই মন্দির নির্মিত হয়েছিল ১৮৯৪ সালে। বাংলা ক্যালেন্ডারের হিসাবে যেটি হল - ১৩০১ সন।
ফলক অনুসারেই - মন্দিরের ঠিকানা হল , ২৩/২ রাজা নবকৃষ্ণ স্ট্রিট, কলকাতা- ৭০০০০৬।
এই মন্দির ঘিরে প্রচলিত রয়েছে এক কিংবদন্তি। বর্তমানে এই মন্দিরের সেবায়েত বিপ্রদাস ভট্টাচার্য।
কথিত আছে, মা কালীর স্বপ্নাদেশ পেয়েছিলেন মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা অমরকৃষ্ণ চক্রবর্তী।
তিনি স্বপ্নে দেখেছিলেন, শোভাবাজার রাজবাড়ির পুকুরে ডাকাতরা মা কালীর মূর্তি ফেলে গিয়েছে।
স্বপ্ন দেখেই ঘুম থেকে উঠে ভোরবেলা সেই পুকুরে যান অমরকৃষ্ণ। তিন বার ডুব দিয়ে মায়ের মূর্তি উদ্ধার করেন তিনি। সেই মূর্তিই পরে মন্দিরে স্থাপন করা হয়।
অমরকৃষ্ণের এক বন্ধুর দান করা জমিতে নির্মিত সেই মন্দির প্রথমে ছিল একটি কাঁচা ঘর। পরে ব্রিটিশরা পাকা মন্দির তৈরি করে তাতে লাল রং করে দেয়। আজও মন্দিরের সেই একই চেহারা বর্তমান।
এই মন্দির শ্রী শ্রী পুঁটিয়া কালীর মন্দির এবং যোগমায়া মন্দির হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হলেও লাল রঙের জন্য এটি 'লাল মন্দির' নামেই অধিক জনপ্রিয়।
এই মন্দির রাস্তার মাঝে অবস্থিত হওয়ায় একে বহু বার সরানোর চেষ্টা করা হয়েছে, কিন্তু পারা যায়নি। উদ্যোগ নিলেই বিপত্তি ঘটেছে কিছু না কিছু। ফলে আর স্থান বদলায়নি মন্দিরের। (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।)