কালীর বিভিন্ন রূপের মধ্যে সব থেকে ভয়ঙ্কর শ্মশান কালী।
বিভিন্ন শ্মশানে যে কালী পূজিত হন তিনিই হলেন শ্মশান কালী।
কালীপুজোর দিন বাংলার সমস্ত শ্মশানেই পুজো পান দেবী, কিন্তু কলকাতার অন্যতম শ্মশান, কেওড়াতলা মহাশ্মশানের কালীপুজোর ইতিহাসের বিষয়ে জানেন?
কখনও মনে প্রশ্ন জেগেছে কেন নিমতলা বা কাশী মিত্র শ্মশানকে 'মহা'শ্মশান না বলা হলেও, কেওড়াতলাকে কেন বলা হয়? এই শ্মশানের আগুন কখনও নেভে না বলেই এই শ্মশান 'মহাশ্মশান'-এর তকমা পেয়েছে।
কেওড়াতলা মহাশ্মশানে ১৮৭০ সাল থেকে শ্মশান কালীর পুজো হয়ে আসছে। অর্থাৎ ২০২৫ সালে এই পুজো ১৫৫ বছরে পদার্পণ করবে।
জনশ্রুতি অনুযায়ী স্থানীয় এক কাপালিক এই পুজো শুরু করেন। তিনি স্থানীয় ২ ব্রাহ্মণের সাহায্য নেন।
জানা যায়, যখনই পুজো শুরু হয়েছিল সেই সময় কেওড়াতলা মহাশ্মশানের শ্মশান কালীর দুই হাত ছিল। জিভ দেখা যেত না দেবীর। আজও সেই একই ধারা বহাল আছে।
কেওড়াতলার এই কালীপুজো করে থাকেন ডোমেরা।
এক দিকে শবদাহ চলে, আরেক দিকে পুজো। শুধু তাই নয়, পুজোর সময় একটি মৃতদেহ দাহ করার জন্য দেহ এনে রাখা হয়।
যত ক্ষণ না শবদেহ আসছে তত ক্ষণ দেবীকে ভোগ নিবেদন করা হয় না বলেই জানানো হয়েছে।
এ বার কালীপুজোর রাতে এমন শিরদাঁড়া দিয়ে হিমেল স্রোত বইয়ে নিয়ে যাওয়া অভিজ্ঞতার সাক্ষী থাকতে এক বার ঢুঁ মেরে আসবেন নাকি কেওড়াতলা মহাশ্মশান থেকে? (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ)।