এই বাংলার বুকে কালী-আরাধনার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে কতই না কাহিনি ও কিংবদন্তী! তেমনই একটি হল– বর্তমান মেদিনীপুর শহরে লছিপোদ্দার কালী বাড়ি।
দাবি অনুসারে, এই কালীবাড়ি ও দেবীর প্রতিষ্ঠা হয়েছিল প্রায় ৪০০ বছর আগে।
এখানে কালীপুজোর সূচনা করেছিলেন সংশ্লিষ্ট দে পরিবারের কর্তা লক্ষ্মীনারায়ণ দে।
কথিত, দেবী স্বয়ং তাঁর মন্দির নির্মাণ ও পুজো শুরুর জন্য লক্ষ্মীনারায়ণকে স্বপ্নাদেশ দিয়েছিলেন!
সেই স্বপ্নাদেশে বলা হয়েছিল, দেবী কালী স্বয়ং আবির্ভূতা হবেন! তাঁর উপস্থিতি বোঝা যাবে নূপুরের শব্দে। সেই শব্দ যেখানে থামবে, সেখানেই মন্দির ও বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
দাবি অনুসারে, এই স্বপ্নাদেশ পাওয়ার কিছু দিনের মধ্যেই মধ্যরাতে বাড়ির সদস্যরা নূপুরের শব্দ শুনতে পান!
সেই শব্দ যেখানে থামে, সেখানেই দেবী কালিকার আরাধনার বন্দোবস্ত করা হয়। সেই থেকেই এই পুজো হয়ে আসছে।
সেই সময়ে অবিভক্ত মেদিনীপুরের হবিবপুরে দেবীর এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করা হয়।
দেবীর নির্দেশ মেনে আজও এক জন অবিবাহিতা কন্যার সারা বছরের ভোজনের সমতুল্য হিসাবে ১০৮ কেজি চাল পুজোয় অর্পণ করা হয়।
গত কয়েক শতাব্দী ধরে এ ভাবেই লছিপোদ্দার কালীবাড়িতে পূজিতা হয়ে আসছেন দেবী। (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।)