দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা জায়গা ও বাড়ি সম্পর্কে এমন অনেক গল্প রয়েছে, যেগুলি নিছকই ‘গল্প’ বলেও যেমন উড়িয়ে দেওয়া যায় না, তেমনই তার ব্যাখ্যা খুঁজতে গেলেও হাত কামড়াতে হয়।
স্বচক্ষে ভূত না দেখতে পেলেও শহরের কেন্দ্রে এমন একটি প্রাসাদ রয়েছে, যার সামনে যেতেও সাহস পান না স্থানীয়রা।
না, কলকাতা নয়, এই ঘটনা পাকিস্তানের করাচি শহরের।
এই শহরের কেন্দ্রে আস্ত একটি প্রাসাদকে ঘিরে ভয়ে তটস্থ হয়ে থাকেন আট থেকে আশি সকলেই।
বলা হয়, রাতের বেলা নাকি অদ্ভুত আওয়াজও শোনা যায় ওই প্রাসাদ থেকে।
রক্ষীরা এমনও মনে করেন যে রাতে মনে হয় যেন এই প্রাসাদের কক্ষ হয়ে ওঠে সান্ধ্য পার্টি ও হট্টগোলের আখড়া।
১৯২৭ সালের কথা। রাজস্থানের একজন ব্যবসায়ী শিবরতন চন্দ্ররতন মোহাট্টা তাঁর স্ত্রীর প্রেমে তৈরি করেছিলেন এই প্রাসাদটি।
শোনা যায়, শিবরতনের স্ত্রী গুরুতর অসুস্থতায় ভুগছিলেন। চিকিৎসকের পরামর্শ ছিল এমন একটি জায়গায় তাঁকে নিয়ে যাওয়া যেখানে সমুদ্রের খোলা হাওয়া পাওয়া যাবে। যাতে দ্রুত স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়।
এই কথা শুনে শিবরতন মোহাট্টা জয়পুর থেকে বিশেষ কারিগরদের ডেকে এই প্রাসাদ প্রস্তুত করেন।
কথিত আছে, এই প্রাসাদের নীচে একটি গোপন সুড়ঙ্গও রয়েছে যা প্রাসাদের মধ্য দিয়ে গিয়ে উন্মুক্ত হয় করাচির এক প্রসিদ্ধ মন্দিরে।
শিবরতন এই সুড়ঙ্গটি তৈরি করেছিলেন যাতে তাঁর স্ত্রী নিরাপদে প্রতি দিন মন্দিরে যেতে পারেন এবং পুজো দিতে পারেন।
বলা হয়, ব্রিটিশ শাসনকালে এমন অনেক ঘটনা সেখানে ঘটে যার-ই ফলাফল হল এই ভূতুরে কাণ্ড কারখানাগুলি।
এই মুহুর্তে এটি পাকিস্তান সরকার দ্বারা রূপান্তরিত একটি জাদুঘর হলেও স্থানীয়দের কাছে এটি আজও ‘ভূতের প্রাসাদ’ হিসেবেই পরিচিত। (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ)।