শরতের আকাশ এখন নরম। বিজয়ার মিষ্টি বিষাদ পার করেই দুয়ারে কড়া নাড়ছে মা লক্ষ্মীর পুজো, কোজাগরী পূর্ণিমা। চার পাশে এখনও দুর্গাপুজোর একটা আমেজ, মন-কেমন করা সুর।
এই বিশেষ তিথিতে দেবী লক্ষ্মীকে বরণ করে নেওয়ার জন্য বাঙালি বাড়িতে চলে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।
আলপনা, ধানের শিস্ আর নতুন শাড়ির ভাঁজের মধ্যে দিয়েই দেবীর আরাধনার প্রস্তুতি পর্ব চলে। তবে এই পুজোর একটি বিশেষ উপকরণ নিয়ে জ্যোতিষ, যোগশাস্ত্র এবং বাস্তু—সবাই একমত। আর তা হল ঘিয়ের প্রদীপ।
কেন এই প্রদীপের এত কদর? আসলে, ঘিকে মনে করা হয় সত্ত্ব গুণের ধারক। বিশ্বাস করা হয়, পুজোর সময় ঘিয়ের প্রদীপের জ্যোতি থেকে পরিবেশে এমন এক সাত্ত্বিক ফ্রিকোয়েন্সি নির্গত হয়, যা স্বয়ং দেবী লক্ষ্মীকে আকৃষ্ট করে।
অর্থাৎ, এই পবিত্র আলো আর সুগন্ধ দেখেই নাকি দেবী, তাঁর ভক্তের বাড়িতে প্রবেশ করেন। এ শুধু বিশ্বাস নয়, এর পেছনে রয়েছে এক গভীর তত্ত্ব।
প্রদীপ হল তেজ বা অগ্নি তত্ত্বের প্রতীক। ঘিয়ের প্রদীপের মাধ্যমে এই তেজ বাড়ে, যা ভক্তের আত্মিক শক্তিকে জাগিয়ে তোলে।
জ্যোতিষ শাস্ত্র বলে, তেল প্রদীপের শুভ প্রভাব নিভে গেলে বেশি ক্ষণ থাকে না, কিন্তু ঘিয়ের প্রদীপের সাত্ত্বিকতা বা শুভ প্রভাব নিভে যাওয়ার পরেও দীর্ঘ সময় ধরে পরিবেশে থেকে যায়, যা দীর্ঘস্থায়ী শুভ ফল দেয়।
যোগশাস্ত্র আবার বলে, ঘিয়ের প্রদীপ চক্র শুদ্ধি করতে সাহায্য করে, যা মনের শান্তি ও সুস্থতা আনে।
বাস্তু মতেও এর মহিমা কম নয়। সন্ধ্যার সময় বাড়ির প্রবেশদ্বার বা পুজোর স্থানে ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালালে এটি বাড়ির চারপাশে এক দিব্য সুরক্ষা কবচ তৈরি করে, যা নেতিবাচক শক্তি বা অলক্ষ্মীর প্রভাবকে গৃহ থেকে দূরে রাখে।
তাই, এই কোজাগরী পূর্ণিমায় নিয়ম মেনে উত্তর দিকে কিংবা পূর্ব দিকে ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালান। কারণ বাস্তু বিশ্বাস, এই দেশি ঘিয়ের ইতিবাচক কম্পন শুধু মা লক্ষ্মী নয়, কুবেরের আশীর্বাদও আকর্ষণ করে, যা পরিবারে আনে শান্তি, সমৃদ্ধি আর ধন-সম্পদ বৃদ্ধি। শুধু অর্থলাভই নয়, এর ফলে সাস্থ্যও ভাল থাকে বলে মনে করা হয়। ( ‘আনন্দ উৎসব ২০২৫’-এর সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছেন একাধিক সহযোগী। প্রেজ়েন্টিং পার্টনার ‘মারুতি সুজ়ুকি অ্যারেনা’। অন্যান্য সহযোগীরা হলেন ওয়েডিং পার্টনার ‘এবিপি ওয়ানস্টপ ওয়েডিং’, ফ্যাশন পার্টনার ‘কসমো বাজ়ার’, নলেজ পার্টনার ‘টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি’, ব্যাঙ্কিং পার্টনার ‘ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া’, কমফোর্ট পার্টনার ‘কার্লন’)। (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ)।