প্রতি বছরের মতো এ বারও বিজয়া দশমীর ঠিক পরের দিনই বীরভূমের দুবরাজপুরে মা শ্মশান কালীর বিসর্জনের আয়োজন করা হয়েছিল। শতাব্দী প্রাচীন এই নিয়ম অন্যান্য জায়গার থেকে আলাদা।
নিয়ম অনুসারে - প্রতি বছর দুর্গাপুজোর পর একাদশীতে সংশ্লিষ্ট শ্মশান কালীর মন্দিরের পিছনের পুকুরে মায়ের বিশালাকার ভয়ঙ্করী মূর্তি বিসর্জন দেওয়া হয়।
সেই বিসর্জনের দায়িত্বে থাকে স্থানীয় দাস পরিবার। কয়েক প্রজন্ম ধরে পরিবারের সদস্য সদস্যরা এই কাজ করে চলেছেন।
পরিবারের সদস্যদের দাবি, আগে বিসর্জনের সময় মাকে ঝাঁটা দেখানো হত এবং গালিগালাজ করা হত! কিন্তু, এখন সে সব রীতি আর মানা হয় না।
তবে, আজও বিসর্জনের আগে মায়ের মূর্তি বেদী থেকে নামানোর সময় তাঁকে শিকল পরানো হয়! দড়ি দিয়ে বাঁধা হয়! ব্যতিক্রমী এই প্রথা দেখতেই ভিড় জমান হাজার হাজার মানুষ।
বিসর্জনের মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরই পুকুরে ঝাঁপ দিয়ে মাতৃমূর্তির কাঠামো তুলে আনা হয়। ত্রয়োদশী থেকে এই পুরোনো কাঠামোয় নতুন করে শ্মশান কালীর মূর্তি গড়া হয়।
নতুন গড়া মাতৃমূর্তিকে বলা হয় - 'কৌমারি' (ছোট বা বাচ্চা মেয়ে)। কার্তিক মাসের অমাবস্যায় সেই মূর্তিতেই মা কালীর পুজো করা হয়।
মায়ের এই মূর্তি গড়া থেকে শুরু করে তাঁর পুজো করা - এই পুরো পর্বের দায়িত্ব পালন করেন স্থানীয় বৈষ্ণব পরিবারের সদস্যরা।
এ ভাবেই শতাব্দী প্রাচীন এই রীতি আজও সমান নিষ্ঠা ভক্তি ভরে পালন করা হচ্ছে। প্রথম থেকেই স্থানীয় দাস পরিবার ও বৈষ্ণব সমাজ ভাগাভাগি করে মায়ের রূপদান থেকে নিরঞ্জনের কাজ করে আসছে।
মাঝে এক বার দাস পরিবারকে অব্যাহতি দেওয়া হলেও তাতে নাকি মায়ের বিসর্জনে বিঘ্ন ঘটে। ফলত, দায়িত্ব ফেরত যায় দাস পরিবারের কাছে। (‘আনন্দ উৎসব ২০২৫’-এর সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছেন একাধিক সহযোগী। প্রেজ়েন্টিং পার্টনার ‘মারুতি সুজ়ুকি অ্যারেনা’। অন্যান্য সহযোগীরা হলেন ওয়েডিং পার্টনার ‘এবিপি ওয়ানস্টপ ওয়েডিং’, ফ্যাশন পার্টনার ‘কসমো বাজ়ার’, নলেজ পার্টনার ‘টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি’, ব্যাঙ্কিং পার্টনার ‘ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া’, কমফোর্ট পার্টনার ‘কার্লন’)। (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ)।