বঙ্গ সংস্কৃতিতে শিব বা মহাদেবকে মূলত ভোলেবাবা হিসাবেই উপাসনা করা হয়। তাঁর এই রূপ শান্ত, প্রশান্তিসূচক। কিন্তু, ভারতের প্রতিবেশী রাষ্ট্র নেপালে তিনি পূজিত হন উন্মত্ত ভৈরব রূপে!
দেবাদিদেবের উগ্র রূপই হল - ভৈরব। পৌরাণিক মতানুসারে - ভৈরবরা সংখ্যায় রয়েছেন মোট আট জন।
এই আট জন ভৈরব আসলে মহাবিশ্বের আটটি পৃথক দিকের নিয়ন্ত্রক এবং রক্ষাকর্তা। এই আট জনের মধ্যে অন্যতম হলেন উন্মত্ত ভৈরব।
যাঁরা শিবের শান্ত ও মোহময় রূপ দেখে অভ্যস্থ, উন্মত্ত ভৈরবের রুদ্র মূর্তি তাঁদের হয়তো বিহ্বল করবে। কিন্তু, তন্ত্র মতে তাঁর এই রূপের আরাধনা করা হয়।
নেপালে মূলত দু'টি জায়গায় উন্মত্ত ভৈরবরূপী শিবের উপস্থিতির সন্ধান পাওয়া যায় বলে দাবি করা হয়। এর একটি হল - কাঠমান্ডু এবং অন্যটি পানৌটি।
এর মধ্যে কাঠমান্ডু শহরের ঐতিহাসিক পশুপতিনাথ মন্দিরে উন্মত্ত ভৈরবকে গুরুত্বপূর্ণ দেবতা হিসাবে মান্য করা হয়।
বিভিন্ন সূত্রের দাবি অনুসারে - উন্মত্ত ভৈরবকে পশুপতিনাথ মন্দিরের ক্ষেত্রপালক বা রক্ষাকর্তা হিসাবে গণ্য করা হয়।
এ ছাড়াও, কাঠমান্ডু থেকে কিছুটা দূরে কাভরেপালাঞ্চোক জেলার পানৌটি শহরে একটি প্রাচীন ও স্বতন্ত্র উন্মত্ত ভৈরব মন্দির রয়েছে।
এটি একটি ঐতিহ্যবাহী নেপালি স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত মন্দির। বহু শতাব্দী প্রাচীন এই মন্দিরটি কাঠের তৈরি।
প্রসঙ্গত, 'উন্মত্ত' শব্দের আক্ষরিক অর্থ হল - 'নিয়ন্ত্রণহীন'। এই রূপটি প্রতীকী ভাবে সমস্ত বন্ধন ও পার্থিব নিয়ন্ত্রণের ঊর্ধ্বে। এবং এটি মুক্তি ও সর্বোচ্চ কামনা শক্তিকে নির্দেশ করে। (‘আনন্দ উৎসব ২০২৫’-এর সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছেন একাধিক সহযোগী। প্রেজ়েন্টিং পার্টনার ‘মারুতি সুজ়ুকি অ্যারেনা’। অন্যান্য সহযোগীরা হলেন ওয়েডিং পার্টনার ‘এবিপি ওয়ানস্টপ ওয়েডিং’, ফ্যাশন পার্টনার ‘কসমো বাজ়ার’, নলেজ পার্টনার ‘টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি’, ব্যাঙ্কিং পার্টনার ‘ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া’, কমফোর্ট পার্টনার ‘কার্লন’)। (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ)।