প্রতীকী চিত্র
'দোলপূর্ণিমার নিশি নির্মল আকাশ...' প্রতি বৃহস্পতিবার লক্ষ্মী দেবীর আরাধনা করা হয়। ঘট পেতে, ফুল মালা দিয়ে, শঙ্খ বাজিয়ে। কিন্তু সেই লক্ষ্মী পুজোর সঙ্গে বিস্তর ফারাক রয়েছে কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর। কিন্তু কী সেই ফারাক চলুন জেনে নেওয়া যাক।
কম বেশি সমস্ত গৃহস্থ বাড়িতেই বৃহস্পতিবার অর্থাৎ লক্ষ্মীবারে ঘটে টাকা রাখা, ধান, দূর্বা দিয়ে পুজো করা হয়। বৃহস্পতিবারে যে লক্ষ্মীপুজো করা হয় তার কোনও নির্দিষ্ট সময় থাকে না। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায় সকাল সকাল বা দুপুরের মধ্যেই পাঁচালি পড়ে, ফুল, মিষ্টি দিয়ে দেবীকে পুজো দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু কোজাগরী পূর্ণিমায় রাত্রিবেলা, নির্দিষ্ট তিথি এবং সময় মেনেই আরাধনা করা হয় দেবী লক্ষ্মীর। দেবীকে দেওয়া হয় বিশেষ ভোগ।
যেহেতু কোজাগরী কথাটি এসেছে 'কে জাগতি' থেকে অর্থাৎ কে জেগে আছ, তাই এই পুজো রাতের বেলাতেই হয়। মনে করা হয়, এ দিন ধনদেবী মর্ত্যে নেমে আসেন, প্রতিটি বাড়ি বাড়ি ঘুরে জিজ্ঞেস করেন 'কে জেগে আছ?' যেখানে আলো জ্বলতে, ধূপ, ধুনো দিয়ে, মন্ত্রোচ্চারণ হতে দেখেন তিনি সেখানেই প্রবেশ করেন। অন্ধকার ঘর দেখলে তিনি ফিরে যান। বৃহস্পতিবারের লক্ষ্মীপুজোর ক্ষেত্রে এমন কোনও নিয়ম নেই যে রাত জাগতে হবে বা রাত জেগে পাশা খেলতে হবে।
কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো মূলত শ্রীবৃদ্ধি, ভাল ফসল ফলন, ধানের গোলা পরিপূর্ণ থাকার প্রার্থনা জানিয়েই করা হয়। এই দিনের আরও এক বিশেষ রীতি হল পায়েস রেঁধে সেটি সারা রাত চাঁদের আলোয় রেখে দিতে হয়, পর দিন সেই পরমান্ন বাড়ির সকলে খান। কিন্তু এই নিয়ম প্রতি বৃহস্পতিবারের লক্ষ্মীপুজোর ক্ষেত্রে দেখা যায় না।
‘আনন্দ উৎসব ২০২৫’-এর সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছেন একাধিক সহযোগী। প্রেজ়েন্টিং পার্টনার ‘মারুতি সুজ়ুকি অ্যারেনা’। অন্যান্য সহযোগীরা হলেন ওয়েডিং পার্টনার ‘এবিপি ওয়ানস্টপ ওয়েডিং’, ফ্যাশন পার্টনার ‘কসমো বাজ়ার’, নলেজ পার্টনার ‘টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি’, ব্যাঙ্কিং পার্টনার ‘ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া’, কমফোর্ট পার্টনার ‘কার্লন’।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।