১৯৪৮ সাল। সদ্যই স্বাধীনতার স্বাদ পেয়েছে দেশ। তবে এই উদ্যাপনের পাশাপাশি আরও কিছু ছবি দেখেছিল ভারত। লক্ষ লক্ষ ভিটেছাড়া মানুষের ঢল। রক্তে ভেসে যাচ্ছে বাংলার মাটি। কাঁটাতারের এ পার এবং ও পারে উদ্বাস্তুদের ভিড়।
তখনও শান্ত হয়নি বাংলা। এমন পরিস্থিতিতে এই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি পেরিয়ে ঢাকা থেকে একটি বিশেষ বিমান উড়ে এল কলকাতার বুকে।
কী এর বিশেষত্ব? কে আছেন এই বিমানে? মানুষ তো আছেনই। সঙ্গে রয়েছেন এক বিশেষ জনও। বিমান দাঁড়াল, মানুষ নামলেন, সঙ্গে নামলেন তিনিও।
‘ঢাকেশ্বরী মাতা’। তিনিই নাকি ঢাকার শক্তিপীঠ আদি ঢাকেশ্বরী মন্দিরের দেবী। দেশভাগের সময়ে তিনি গোপনে চলে এলেন এই দেশে।
প্রায় ৮৫০ বছররের পুরনো এই মূর্তির উচ্চতা মাত্র দেড় ফুট।
অসুর এবং সন্তানদের নিয়ে বিরাজমান তিনি। গাত্রবর্ণ সোনালি। পিছনের চালচিত্রটি রুপোর।
কথিত, দেবীর স্বপ্নাদেশে রাজা বল্লাল সেন জঙ্গল থেকে ঢাকা অবস্থায় খুঁজে পেয়েছিলেন দেবীকে। সেই থেকেই নাম ‘ঢাকেশ্বরী’।
আবার অনেকে বলেন, মহারাজ মান সিংহের আমলে প্রতিষ্ঠা হয়েছিল এই মূর্তির। পরে রাজেন্দ্রকিশোর তিওয়ারির সঙ্গে কলকাতায় চলে আসে এটি।
কুমোরটুলি পাড়ার দুর্গাচরণ স্ট্রিটেই দেবীর মন্দির।
বলা হয়, দেবী এখানে খুবই জাগ্রত। শতাব্দী পেরিয়েও তাঁর যত্নে কোনও ভাটা পড়েনি আজও। ( ‘আনন্দ উৎসব ২০২৫’-এর সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছেন একাধিক সহযোগী। প্রেজ়েন্টিং পার্টনার ‘মারুতি সুজ়ুকি অ্যারেনা’। অন্যান্য সহযোগীরা হলেন ওয়েডিং পার্টনার ‘এবিপি ওয়ানস্টপ ওয়েডিং’, ফ্যাশন পার্টনার ‘কসমো বাজ়ার’, নলেজ পার্টনার ‘টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি’, ব্যাঙ্কিং পার্টনার ‘ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া’, কমফোর্ট পার্টনার ‘কার্লন’)। (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ)।