পুরাণ বলে, হাতির ছদ্মবেশে থাকা মহিষাসুরের বিনাশ করতেই নাকি আবির্ভাব হয়েছিল দেবী জগদ্ধাত্রীর।
কিন্তু শুধুই কি অসুর? আসলে তিনি ধ্বংস করেছিলেন দেবতাদের অহংবোধকেও। জানেন সেই গল্প?
মহিষাসুর বরদান পেয়েছিলেন, তাঁকে কোনও পুরুষ বধ করতে পারবেন না। সেই কারণেই তাঁকে পরাস্ত করতে আবির্ভূতা হন দুর্গা।
দেবতাদের দেওয়া অস্ত্র হাতে তিনি নামেন রণক্ষেত্রে। জয়ী হন।
এর পরে বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডে আবারও ফিরে আসে ভারসাম্য। আর সেই সঙ্গেই জন্ম নেয় দেবতাদের অহঙ্কার।
তাঁদের মধ্যে ধারণা জন্মায় যে অসুর বধে দেবী দুর্গার কোনও কৃতিত্বই নেই!
দেবতাদের দেওয়া অস্ত্রের মাধ্যমেই নাকি এই বিনাশ সম্ভব হয়েছে।
উপরন্তু নেহাত ব্রহ্মা মহিষাসুরকে বর দিয়েছিলেন যে তাঁকে বধ করতে পারবেন না কোনও পুরুষ, তাই নারী হিসেবে দেবী দুর্গার হাতে তাঁর পরাজয় হয়েছে মাত্র।
দেবতারা যখন তাঁদের অহংবোধে ডুবে, ঠিক সেই সময়ে তাঁদের সামনে এক যক্ষ আবির্ভূত হন এবং তাঁদের দিকে ছুড়ে দেন একটি তৃণখণ্ড বা ঘাসের টুকরো।
সেটিকে ধরা তো দূর, কোনও দেবতা তা আটকাতে এবং ধ্বংস পর্যন্ত করতে পারলেন না।
সামান্য তৃণখণ্ডের জন্য যখন দেবতাদের ধরাশায়ী অবস্থা, তখন সেই দেবতাদের সামনেই যক্ষ রূপান্তরিত হলেন এক নারীমূর্তিতে।
তিনি চতুর্ভুজা। কী অপরূপ তাঁর রূপ!
দেবতাদের অকারণ অহঙ্কারকে ধুলোয় মিশিয়ে দেওয়া এই ‘নারী’ আসলে কে ছিলেন জানেন?
স্বয়ং দেবী জগদ্ধাত্রী! (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ)।