সংগৃহীত চিত্র।
সম্প্রতি কল্লোলিনী তিলোত্তমা সাক্ষী থাকল এক অনন্য ঘটনার। মহালয়ার দিন এই শহরেই একত্রে বেজে উঠল ৬৭২টি শঙ্খ। হ্যাঁ, যে শঙ্খধ্বনি ছাড়া পুজো সম্পূর্ণ হয় না, যে ধ্বনিকে অত্যন্ত পবিত্র বলে মনে করা হয় হিন্দু ধর্মে, সেই শঙ্খ ধ্বনি দিয়েই এক অনন্য নজির গড়ল এই বাংলা।
চলতি বছরের মহালয়ার দিন এক অদ্ভুত যোগ তৈরি হয়েছিল। এই দিনের বিশেষ তিথিটি প্রায় শত বছর পর ফিরে এসেছিল, সেটিকে উদ্যাপন করতে, ভক্তির সঙ্গে ঐতিহ্য এবং নারী শক্তিকে এক করে দিতেই এই বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছিলেন বাংলার এক অন্যতম জনপ্রিয় উদ্যোগপতি। তাঁর আহ্বানেই ৬৭২ জন মহিলা জড়ো হয়েছিলেন দেশপ্রিয় পার্কে।
এই উদ্যোগের নাম ছিল ‘শক্তির আরাধনা’। আর ট্যাগলাইন ছিল, ‘বাজাব শঙ্খ, গড়ব রেকর্ড’। হ্যাঁ, শঙ্খ বাজিয়ে তাঁরা রেকর্ড গড়েছেন বটে। একত্রে এশিয়া বুক অফ রেকর্ড এবং ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডে নাম উঠল এই আয়োজনের। এই উদ্যোগের মাধ্যমে যেন একই সঙ্গে কোথাও যেন একটা বার্তা দেওয়া হল যে নারী শক্তি একত্রিত হলে সেটা কতটা শক্তিশালী হতে পারে, সেটার।
মহালয়ার দিন ৬৭২ জন মহিলা বাঙালি সংস্কৃতি, ঐতিহ্য মেনে সাদা লাল পাড় শাড়ি পরে দেশপ্রিয় পার্কে আসেন। এর পরই একত্রে বেজে ওঠে ৬৭২টি শঙ্খ। তৈরি হয় এক অনন্য নজির। যেন শঙ্খধ্বনির মাধ্যমেই অশুভকে নাশ করে এই দেবীপক্ষে শুভর সূচনা ঘটল।
‘আনন্দ উৎসব ২০২৫’-এর সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছেন একাধিক সহযোগী। প্রেজ়েন্টিং পার্টনার ‘মারুতি সুজ়ুকি অ্যারেনা’। অন্যান্য সহযোগীরা হলেন ওয়েডিং পার্টনার ‘এবিপি ওয়ানস্টপ ওয়েডিং’, ফ্যাশন পার্টনার ‘কসমো বাজ়ার’, নলেজ পার্টনার ‘টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি’, ব্যাঙ্কিং পার্টনার ‘ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া’, কমফোর্ট পার্টনার ‘কার্লন’।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।