নিজস্ব চিত্র
প্রতি বারের মতো এ বছরও মা কালীর আরাধনার আয়োজন করেছিল বেহালা ঠাকুরপুকুর এলাকার আবাস হাউজিং শ্যামাপূজা কমিটি। তাদের পুজোয় বয়স ২১ বছর। আবাসনের এই পুজো তার কিছু স্বতন্ত্র রীতি-রেওয়াজের কারণে সকলের নজর কেড়ে এসেছে একে বারে প্রথম থেকেই।
এই পুজো তুলনামূলক ভাবে বয়সে নবীন হলেও যাবতীয় প্রাচীন ঐতিহ্য মেনেই শ্যামা মায়ের আরাধনা করা হয়। এ বারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। এই আবাসনের পুজোয় মা কালীর প্রতিমা নির্মাণ করেছেন কুমোরটুলির মৃৎশিল্পী সনাতন পাল।
নিজস্ব চিত্র
প্রতি বারের মতো এ বছরও কাঠের মঞ্চের উপর নতুন ইটে গঙ্গা মাটি লেপে তৈরি করা হয় মায়ের বেদি। সেই বেদি সাজিয়ে তোলা হয় চালের গুঁড়ির আলপনায়। এর পর ওই বেদিতে বিছিয়ে দেওয়া হয় মাদুর। পুজোর সময় মা কালী এই বেদির উপরেই অধিষ্ঠিত থাকেন।
আবাস হাউজিংয়ের পুজোয় বলি প্রথাও পালন করা হয়। তবে, পশুবলি দেওয়া হয় না। বদলে বিভিন্ন ধরনের ফল ও সবজি - যথা - আখ, চালকুমড়ো, কলা, শশা ও বাতাবি লেবু বলি দেওয়া হয়। এই পুজোর আরও একটি বৈশিষ্ট্য হল - বিসর্জনের সময় মাকে ফুলের গয়নায় সাজানো হয়। যেহেতু তাঁকে কন্যা রূপেও কল্পনা করা হয়, তাই নিরঞ্জন যাত্রায় মাকে বের করার আগে কনকাঞ্জলি প্রথা পালন করা হয়।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।