বারাসত মানেই আলোর উৎসব, বারাসত মানেই কালী উদ্যাপন। সারা বছর ধরে এই শহরের শ্যামাপুজোর দিকেই তাকিয়ে থাকে গোটা বাংলা।
আলো ঝলমলে বারাসতের কালীপুজোর ভিড় প্রতি বছরই বুঝিয়ে দেয়, এই উৎসবের টান কত গভীর। এই বছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
শহর থেকে দূরে হলেও, টাকি রোডের ঠিক উপরেই থাকা বারাসতের শতদল সংঘের আকর্ষণ এক বিন্দুও কম ছিল না।
এই বছর এই সংঘ পা দিয়েছিল তাদের ৫৭তম বর্ষে। এত বছরের পথ চলায় প্রতি বছরই নতুন বার্তা নিয়ে আসে শতদল।
২০২৫ সালের কালীপুজোয় তাদের নিবেদন ছিল এক গভীর ভাবনা। থিম ছিল 'অর্ধ আকাশের আর্তনাদ'— নারীর না বলা কথা, জীবনের যন্ত্রণা আর শক্তির জয়কে ফুটিয়ে তোলা হয়েছিল সেখানে।
পূর্ব মেদিনীপুরের শিল্পী রঘুনাথ জানার হাতে মণ্ডপ জুড়ে যেন কথা বলছিল সেই আর্তনাদ।
শুধু মাত্র প্রতিমা বা মণ্ডপের জৌলুসে নয়, শতদল সংঘের কালীপুজোর বিখ্যাত মেলাটিও দর্শনার্থীদের কাছে এক বিরাট আকর্ষণ।
মণ্ডপের পাশেই এই উপলক্ষে বসে এই সুবিশাল মেলা। দূর দূর থেকে মানুষ আসেন এই মণ্ডপের প্রতিমার দর্শন করতে এবং মেলায় আনন্দ করতে।
কালীপুজোর রাত থেকে যে জনস্রোত শুরু হয়, তা চলতে থাকে পরের কয়েকটি দিনও।
ছোটদের কোলাহল, বড়দের জটলা, আর মণ্ডপে দেবীর সামনে দাঁড়িয়ে জীবনের সব অন্ধকার দূর করার প্রার্থনা— সব মিলিয়ে শতদল সংঘের পুজো যেন বারাসতের শ্যামা-উৎসবের এক পরিপূর্ণ ছবি। (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।)