সংগৃহীত চিত্র।
গত কয়েক বছরের ধারা এ বারও অব্যাহত রাখছে উত্তর কলকাতার বিধান সরণি অ্যাটলাস ক্লাব। এ বারও তাদের পুজো হচ্ছে 'পোষ্যবান্ধব'। অর্থাৎ - পুজোর ঠাকুর দেখায় শুধু পরিবারের দু’-পেয়ে সদস্যরা নন, সেই সঙ্গে চারপেয়ে, ডানাওয়ালা, জলচর, প্রভৃতি সব রকমের পোষ্যরাই সামিল হতে পারবে!
এ বারের পুজো সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কমিটির সভাপতি গুরুপ্রসাদ ঘোষাল। তিনি জানান, তাঁদের আয়োজিত এই শারদোৎসবের বয়স ৪৩ বছর। এ বার তাঁদের থিমের নাম 'মোকাম'।
শহর কলকাতার দুই প্রান্ত - অর্থাৎ - উত্তর ও দক্ষিণের মধ্যে যে সমস্ত মিল ও অমিল রয়েছে, সেগুলিই এ বারের এই পুজোমণ্ডপে তুলে ধরা হবে। উত্তর কলকাতা এবং দক্ষিণ কলকাতার জীবনযাত্রা অতীতে কেমন ছিল, বা এখন কেমন - সে সবেরই উল্লেখ থাকবে মণ্ডপসজ্জায়।
এই থিম ভাবনার নেপথ্যে রয়েছেন শাশ্বত মণ্ডল। প্রতিমার রূপ পরিকল্পনাও তিনিই করেছেন। মূলত, বাঁশের কাঠামোর উপর নির্মিত হচ্ছে মণ্ডপ। তাতে প্রয়োজন মতো প্লাইউড ও অন্যান্য সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে। শহর কলকাতার দুই প্রান্তের ছবি ফুটিয়ে তুলতে দেওয়াল চিত্রের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকছে।
গুরুপ্রসাদ জানান, গত প্রায় পাঁচ থেকে ছ'বছর ধরে তাঁরা পোষ্যবান্ধব পুজোর আয়োজন করে চলেছেন। আসলে ঈশ্বরের আরাধনা, বিশেষ করে জগজ্জননীর পুজোয় শুধুই যে মানুষের অধিকার থাকবে, এমনটা তো নয়। কারণ, যিনি সারা জগতের মাতা, তাঁর কাছে তো সকল জীবই সমান। তা হলে কেন বাড়ির পোষ্যরা পুজোমণ্ডপে ঢুকতে পারবে না, বা মায়ের কাছে যেতে পারবে না?
এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়েই পোষ্যবান্ধব দুর্গোৎসবের আয়োজন শুরু হয়। যা পশুপ্রেমীদেরও মন জয় করে নিয়েছে। পুজোর দিনগুলিতে যে কোনও দর্শনার্থীই তাঁর পোষ্যকে নিয়ে মণ্ডপে ঢুকতে পারবেন। তবে, চতুর্থী ও পঞ্চমীর দিন পোষ্যদের মণ্ডপে নিয়ে এলে ভিতরে ঢোকার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
‘আনন্দ উৎসব ২০২৫’-এর সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছেন একাধিক সহযোগী। প্রেজ়েন্টিং পার্টনার ‘মারুতি সুজ়ুকি অ্যারেনা’। অন্যান্য সহযোগীরা হলেন ওয়েডিং পার্টনার ‘এবিপি ওয়ানস্টপ ওয়েডিং’, ফ্যাশন পার্টনার ‘কসমো বাজ়ার’, নলেজ পার্টনার ‘টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি’, ব্যাঙ্কিং পার্টনার ‘ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া’, কমফোর্ট পার্টনার ‘কার্লন’।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।