কাকভোর থেকে দর্শকদের আনাগোনা। দর্শনার্থীদের ভিড় আগলে দাঁড়িয়ে রয়েছে দেবীর মন্দির। বেলা যত বেড়েছে, পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ভিড়ও।
দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দিরের ক্ষেত্রে এই দৃশ্য আর নতুন কোথায়? দেবীর এক ঝলক পাওয়ার জন্য এই ভাবেই তাঁর দ্বারস্থ হন অগুন্তি ভক্তরা।
তবে এই দিন ছিল একটু ব্যতিক্রম। কালীপুজোর বিশেষ তিথিতে দেবী ভবতারিণীর আরাধনায় ভক্তদের ঢল নেমেছিল সেখানে।
ভোর ছ’টা থেকে শুরু হয়েছিল পুজো। দেবী ভবতারিণীর চরণে অর্ঘ্য নিবেদনের জন্য তখন থেকেই লাইনে দাঁড়িয়ে সকলে।
এ দিন লাল বেনারসিতে মুড়ে দেওয়া হয়েছিল দেবী ভবতারিণীকে। অলঙ্কারে সজ্জিত এই রূপ থেকে যেন চোখ ফেরানো দায়।
দেবীর পুজো থেকে আরতি, কোনও দৃশ্যই বাদ যায়নি। সবই ভক্তরা উপভোগ করেছেন এলইডি স্ক্রিনের মাধ্যমে।
মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফেই তা বসানো হয়েছিল মন্দিরের প্রবেশপথে।
পুণ্যার্থীদের কথা মাথায় রেখেই কড়া নিরাপত্তা বলয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছিল গোটা মন্দির চত্বরকে।
দুপুর থেকে ছিল বিশেষ ভোগের আয়োজন। এ ছাড়াও সন্ধ্যায় মহা-আরতি ও গঙ্গারতি।
প্রদীপ দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয় গঙ্গার পাড়।
এই গঙ্গারতি দেখতে সেখানেও ভিড় জমান ভক্তরা।
উপরন্তু মন্দির চত্বরে ধামসা-মাদলের তালে আদিবাসী নৃত্য ছিল এই সন্ধের বিশেষ আকর্ষণ। (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।)