ধূপগুড়ি বাজারের কাছেই, আলো ঝলমলে উৎসবের অপেক্ষায় এসটিএস ক্লাব। শুধু শারদোৎসব নয়, শ্যামাপুজোতেও এই ক্লাবের জাঁকজমক বরাবরই চোখে পড়ার মতো।
বছর ঘুরে আবার এল কালীপুজো। এই ক্লাব পা দিচ্ছে ৫৫তম বর্ষে।
প্রতি বছরই তাদের আয়োজন ও পরিকল্পনায় নতুনত্বের ছোঁয়া থাকে, এ বারেও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
গত ২৭ জুলাই বিভিন্ন সামাজিক কর্মসূচির সঙ্গে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে খুঁটি পুজোর কাজ শেষ করে উৎসবের ঢাকে কাঠি পড়েছিল। তারপর থেকে প্রস্তুতি চলেছে জোর কদমে।
এ বারের থিম – ইসকনের মায়াপুরের চন্দ্রোদয় মন্দির। মঞ্চসজ্জায় সেই মন্দিরের স্থাপত্য ফুটিয়ে তোলার কাজ অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে।
মণ্ডপের প্রবেশদ্বারটি নির্দিষ্ট জায়গায় তৈরি হয়ে নজর কাড়বে বলে আশা করা যাচ্ছে।
ভিতরের কাঠামো, বিশেষত প্লাইয়ের কাজ প্রায় শেষের দিকে। এখন চলছে প্লাইয়ের উপর প্রাইমার লাগানো।
তবে চমক এখানেই শেষ নয়। দেবীপ্রতিমা তৈরি হবে সম্পূর্ণ ধানের শীষ দিয়ে।
পূর্ব মেদিনীপুরের শিল্পী চন্দন রায় এই অভিনব প্রতিমা তৈরি করছেন।
আলোর খেলায় মণ্ডপকে আলোকিত করার দায়িত্বে রয়েছে চন্দননগরের ত্রিনাথ ইলেকট্রিক। তাদের আলোকসজ্জা ধূপগুড়ির রাতের আকাশকে আরও উজ্জ্বল করে তুলবে।
ক্লাব সূত্রের খবর, এই বর্ণাঢ্য উৎসবের শুভ উদ্বোধন হবে আগামী ১৮ই অক্টোবর।
এখন শুধু সেই দিনের অপেক্ষা, যখন দেবী কালী তাঁর অলৌকিক রূপে ধরা দেবেন ধূপগুড়ির এই মণ্ডপে। (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ)।